অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন ব্যাপকভাবে আলোড়ন তুলেছে বিভিন্ন ডিজে পার্টি। শুধু টিনএজ নয় বিভিন্ন বয়সীদের কাছেও ডিজে পার্টি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে শুধু বিশেষ দিবসগুলোতে বিশেষভাবে ডিজে পার্টির আয়োজন করা হতো। আর সেই ডিজে পার্টি শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন তা বাইরে ছড়িয়ে গেছে।
খোলা জায়গাতেও এখন ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন করপোরেট শোগুলো ছাড়িয়ে এখন ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয় পারিবারিক অনুষ্ঠানেও। গায়ে হলুদ, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী ছাড়াও বিভিন্ন ওপেন কনসার্টে ডিজে পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে। নগরকেন্দ্রিক টিএনএজ এবং সংস্কৃতিমনা কিছু মানুষের কাছে ডিজে সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকলেও সাধারণ মানুষের ধারণা খুবই কম। আবার যারা ডিজে পার্টিতে কখনো অংশগ্রহণ করেনি কিন্তু ডিজে সম্পর্কে শুনেছে তাঁদের ধারণা আবার নেতিবাচক। ডিজে জিনিসটা কী এ ব্যাপারটা না জেনেই অনেকে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে থাকেন।
তাঁদের জন্য বলে রাখি, ডিজে ইংরেজি শব্দ। যার মূল অর্থ করলে দাঁড়ায় ডিস্ক জকি। একজন ব্যক্তি যখন তার সংগ্রহে দেশি-বিদেশি গান নিজের পছন্দমতো আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে অতিথির উদ্দেশে প্লে করে তখন তাকে ডিজে বলা হয়। আর ওই গানের তালে তালে অতিথি তার মনের অনুভূতি নৃত্যের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে। একজন ব্যক্তি নিজের পছন্দমতো গান চালিয়ে দিলেই তাকে ডিজে বলা যাবে না। ডিজে হতে হলে কিছু বিশেষ গুণের অধিকারী হতে হবে। আর সেই গুণের অধিকারী হতে গেলে দরকার হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ।
বর্তমানে আমাদের দেশে যে কয়েকজন ডিজে হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে প্রায় প্রত্যেকেই ভিন্ন কিছু করার তাড়না থেকে এই পেশায় আসেন । এদের মধ্যে ডিজে রাহাত, প্রিন্স, ওয়াহেদ, অমি, রিয়েল, জোবায়ের, মেহেদী, ফারুক, হিমু, ইমন, হৃদয় মিশু অন্যতম। আশার কথা হচ্ছে বেশকিছু মেয়ে ডিজেও সাফল্যের সঙ্গে এই পেশায় কাজ করছে। যারা অনেক বাধার দেয়াল ডিঙিয়ে ডিজে পেশাতে সফল হয়েছে। এর মধ্যে ডিজে সনিকা, মিষ্টি, রিটা, পরী অন্যতম।