২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সকাল ১১:১২
টঙ্গীবাড়ীতে গাছ কেটে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ব্যবস্থা নিচ্ছে না বন বিভাগ
খবরটি শেয়ার করুন:

উপজেলার কামারখাড়া বাজারের ব্রীজের পশ্চিম পাশের মফি হাওলাদার ৪টি সরকারী গাছ কেটে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ঘটনায় মামলা দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা। এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা ও উপকারভোগীর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। টঙ্গীবাড়ী উপজেলা বন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, উপকারভোগী কেউ অভিযোগ করেনি বলে মামলা করা হয়নি। কিন্তু উপকারভোগী কামাল বেপারী জানান, আমি বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছি, সে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে, বন কর্মকর্তা উৎকোচ খেয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে উৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

সরেজমিনে, সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া হাসাইল সংযোগ সড়কের কামারখাড়া ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তার পাশের গাছ কেটে মফি হাওলাদার রাস্তার অংশ দখল করে সীমানা প্রাচির নির্মান করছেন। ইতিমধ্যে ওই প্রাচির নির্মানের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। এ ব্যাপারে মফি হালদার এর সাথে কথা হলে ওই প্রাচীর কে নির্মাণ করছে জানতে চাইলে, আমি জানিনা বলে সাংবাদিকদের দেখে পালিয়ে যান। এর আগে কোন অনুমতি না নিয়ে ওই স্থানে দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৪ টি সরকারী একাশিয়া গাছ কেটে সিমানা প্রাচির (দেয়াল) নির্মাণ করে মফি হাওলাদার। এ ঘটনায় স্থানীয় জাবু মেম্বারের ছেলে কামাল বেপারী, মফি হাওলাদার ও তার ছেলে হামিদ হাওলাদার ও বাচ্চু হাওলাদারকে আসামী করে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগের আলোকে পুলিশ নির্মাণাধীন ওই বাড়ির পাশের পুকুর থেকে কর্তনকৃত ৪ টি গাছ উদ্ধার করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা বন কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, স্থাণীয় চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হালদার আমার কাছে আভিযোগ করলে আমি গাছগুলো উদ্ধার করি। কিন্তু বন-কর্মকর্তাকে একাধিকবার বিষয়টি জানানোর পরেও সে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

error: দুঃখিত!