১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৮:৫৭
জোড়াখুনের মামলা থেকে কিভাবে বাঁচলেন কিবরিয়া মিজি, জানতে তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর সীমানাধীন মেঘনা নদীতে জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া মিজি ও তার বাহিনীর নাম বাদ দিয়ে গুলিবিদ্ধের নামে মামলা হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করবে নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার। এ জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে তারা।

সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ানের নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি মেঘনায় জোড়াখুনের মামলা থেকে কিবরিয়া মিজিকে রক্ষায় মরিয়া চাঁদপুরের পুলিশ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে আমার বিক্রমপুর।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি (দক্ষিণ বিভাগ) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, নৌ-পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মুক্ত ধর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) মির্জা তারেক আহমেদ বেগ।

এই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিবে।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে আদেশে বলা হয়েছে- অভিযুক্তদের নাম বাদ দিয়ে গুলিবিদ্ধের নামে মামলার বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া ও অভিযুক্তদের রক্ষার্থে পুলিশের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে নৌ-পুলিশের কোনো কর্মকর্তারা জড়িত কি না এই বিষয়গুলো তদন্ত করা উচিৎ।

তদন্ত কমিটির প্রধান নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (দক্ষিণ বিভাগ) আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, এই তদন্তে মামলার দুটি অংশ রয়েছে। প্রথমটি যেটা আমরা করছি, সেটা হচ্ছে ডিপার্টমেন্টাল অংশ। এই ঘটনার সাথে নৌ-পুলিশ কিংবা অন্য কোন পুলিশের সদস্য জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। দ্বিতীয়ত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন। যেটা এই মামলার বিষয়ে এখন নৌ-পুলিশ করছে। অর্থাৎ এই হত্যার সাথে কারা জড়িত আছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

প্রসঙ্গত; গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর সীমানাধীন মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে কিবরিয়া মিজি বাহিনীর গুলিতে জহির বাহিনীর দুইজন নিহত ও একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে ৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত কিবরিয়া মিজি ও তার বাহিনীর লোকজনের নাম বাদ দিয়ে জহিরুল ইসলামকে প্রধান করে গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলীসহ ২৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। তবে এই মামলায় কে বা কারা আসামি হয়েছে সেটা জানেন না বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী নিহত রাসেল ফকিরের মা আনোয়ারা বেগম।

error: দুঃখিত!