২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সন্ধ্যা ৭:১৮
জঙ্গীদের নেত্রী খালেদা জিয়া-মুন্সিগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী
খবরটি শেয়ার করুন:

চুরি নেবো গো চুরি’ আমদের দেশের যে শ্রেনীর লোক বাড়ি বাড়ি ফেরি করে এভাবেই চুরি বিক্রি করতেন। এখন সময় এসেছে বাড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের লোকজন বলবে বিদ্যু লাগবে, বিদ্যুৎ। ২০০১ সালে ক্ষমতা থেকে চলে যাবার সময় ৪৩০০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ২০০০ মেগওয়াট বিদুৎ পেয়েছি। গত ৭ বছরে আমারা সেই বিদ্যুৎ ১৩ হাজার বেগওয়াটে উন্নতি করেছি। আরো বিদ্যুৎ আসছে ভ‚টান, নেপাল ও ভারত থেকে। একই সাথে আমারাও দেশে পারমানবিক ওকয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রী তৈরী করছি। তাই খুব শিঘ্রই ফেরি ওয়াটার মত বিদ্যুতের লোকদেরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে। কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা মাঠে বিদ্যুৎবিহীন ১৫শ পরিবারে মধ্যে সোলার হ্যাজাক লাইট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা আজ দেশে হত্যা , হানাহানি, বোমাবাজি জঙ্গিবাদের পক্ষে কাজ করছে ,তারা চায় বঙ্গবন্ধুর মত তাঁর কন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাও যাতে দেশটাকে সুন্দর করে সাজাতে না পারে। দেশে জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা চেয়েছিল খালেদার ছেলে দেশে ফিরে আসুক। আবার লটুতরাজ শুরু করুক।দেশটা জাহান্নামে যাক। তাঁর ছেলে কারি কারি টাকা কামাক। আল্লাহ জালিমের দোয়া কবুল করেনা, মজলুমের দোয়া কবুল করে। বেগম জিয়া আপনার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

জঙ্গীদের নেত্রী হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া ৯২ দিন আন্তঘাতভাবে দেশটাকে রেখে একটি বক্তিতায় বলেছিলেন, কিছু কিছু পারার জন্য একটু ক্ষতি হয়ে থাকে। ওনার যান পাথরের মত শক্ত। ছেলের লাশ দেখতে তিনি ২০ মিনিট পরে উপর থেকে নীচে নামলেন। লাশের এক পাশে ওনি অন্য পাশে মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। ছেলের মৃত্যুর তিন দিন পরেও তিনি কবর জিয়ারত করতে গেলেন না। এমন কি যে স্বামী জিয়াউর রহমানের তাবিজ বিক্রি করে তিনি চলেন। তার মৃত্যু বার্ষিকীতেও তিনি জিয়ারত করতে কবরে যাননি। তিনি প্রতীক্ষা করেছিলেন শেখ হাসিনাকে পতন ঘটিয়েই ঘরে ফিরবেন। ওনি ঘরে ঠিকই ফিরেছেন, তবে শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে পারেননি।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার আমলে জ্ঞানের আলো পেয়েছে। জানুয়ারির ১ তারিখে আমারা ছেলে মেয়েদের হাতে বই পৌছে দিচ্ছে। তাও তাদের ভাল লাগেনি। বিজি প্রেসে আগুন দেয়া হয়েছে। তার পরেও আমরা বই পৌছে দিয়েছি। যোগাযোগ ক্ষাতে প্রভ‚ত উন্নতি হচ্ছে। কৃষি কাজে আসছে ব্যাপক সফলতা। তিনি রসিকতা করে বলেন,মুন্সীগঞ্জে আর কৃষি কাজ থাকবেনা। মুন্সীগঞ্জের এ অঞ্চল হয়ে যাবে শহর। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন এ অঞ্চলকে হংকংয়ের মত শহরে পরিনত করবেন।

লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওসমান গনি তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক হুইপ ও স্থানীয় এমপি অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফকির আব্দুল হামিদ,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশিদ সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনিন আক্তার স্বর্ণা।

error: দুঃখিত!