ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ধরে নিয়ে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
সকালে শুরু করে সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী আসার খবরে আতঙ্কে আছে মুন্সিগঞ্জের মানুষ। তারা এ সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খোজখবর নিচ্ছে। মুন্সিগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়ার ঝুকি কম থাকলেও নদীবেষ্টিত হওয়ায় ্কিছুটা ঝুকি থেকেই যায়। বিশেষ করে লৌহজংয়ের পদ্মার পাড়ের বাসিন্দারা বেশ চিন্তিত রয়েছেন। এছাড়া গজারিয়া মেঘনা নদীঘেষা বাসিন্দারাও তাদের আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন। আতঙ্কে আছেন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার মানুষ।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় করে শুক্রবার দুপুরে ভারতের ওড়িষা উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে, এরপর ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাবে।
শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ভারতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে, যার অংশ হিসেবে এই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়।
সভার শুরুতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল শুক্রবার সকালে কাজ শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
প্রথমে নারী, শিশু ও বয়স্কদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, “লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার পর সেখানে (ওইসব অঞ্চলে) পাহারা রাখতে হবে, শেল্টারগুলোও পাহারায় রাখতে হবে।”
আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের নিরাপত্তায় সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯ উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে তারা মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।
উপকূলীয় ১৯ জেলায় তিন হাজার ৮৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্রই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।