২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | রাত ১:১৬
ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে বিয়ে: ভাল, মন্দ, মিশ্র প্রতিক্রিয়ার গল্প
খবরটি শেয়ার করুন:

৩ বছর- ক্যারিয়ারের এই সময়টুকু পেরিয়ে এলেই কি নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়? গত দুই দশকে অন্তত ৩ জন দর্শকনন্দিত নায়িকা ক্যারিয়ার ৩ বছরের কাছাকাছি গেলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছেন।

১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর রিলিজ পায় শাবনাজের প্রথম ছবি ‘চাঁদনী’। ১৯৯৪ সালে প্রথম ছবির সহশিল্পী নাঈমকে বিয়ে করেন শাবনাজ।

১৯৯৩ সালের ২৩ মার্চ রিলিজ পায় মৌসুমী অভিনীত প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। ১৯৯৬ সালে ওমর সানীর ঘরে পদার্পণ করেন মৌসুমী।

২০১২ সালের ৫ অক্টোবর রিলিজ পায় ‘ভালোবাসার রং’। এই ছবিতে অভিষেক হয় মাহিয়া মাহির। ২০১৬ সালের মে মাসে বিয়ের সানাই বাজলো তারও।

ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে বিয়ে করে শাবনাজ, মৌসুমী ও মাহি এখন আলোচিত নাম। বিয়ের পর নাঈম-শাবনাজের ক্যারিয়ারে এক ভয়াবহ দুর্যোগ ঘটে যায়। পরের পর ছবি ব্যর্থ হতে থাকে। মৌসুমী-ওমর সানীর ভাগ্যেও শনির দশা গ্রাস করে। অথচ শীর্ষ নায়িকা হওয়ার লড়াইয়ে ওই দুই নায়িকা ছিলেন অপ্রতিদ্বন্ধী।

বিয়ের সময় মাহি দেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়িকা। একাধিক হিট ছবি তার ঝুলিতে। পরিচালক-প্রযোজকদের কাছে তার চাহিদাও অসামান্য। তারপরও তার ক্যারিয়ারে কিছু ‘কিন্ত’ বর্তমান। নিজের আবিষ্কারক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সাথে দ্বন্ধ, সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া, একাধিক ছবির মন্দ ব্যবসা এবং সিনেমা থেকে সরে সরে থাকার চেষ্টা তাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি করেছিল।

ঠিক এই মুহূর্তে বিয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার রোমান্টিক ইমেজ। যেমনটা ঘটেছিল শাবনাজ-মৌসুমীর বেলায়। আবার দিতির মতো ইচ্ছে থাকলে, দর্শক চাইলে ঘুরেও দাঁড়াতে পারে মাহির ক্যারিয়ার।

১৯৮৪ সালে নতুন মুখের কার্যক্রমের মাধ্যমে সোহেল চৌধুরী ও দিতির আবির্ভাব। সিনেমায় নাম লেখানোর কিছুদিন পরই দিতি সহকর্মী সোহেলের ঘরণী বনে যান। তারপরও দিতির ক্যারিয়ার দর্শকপ্রিয়তার সুবাদে অনন্য মাত্রা পায়।

ওই সময়ে বিয়ের পর পর্দায় আসেন চম্পা। দিতি-চম্পা বিবাহিত জানার পরও দর্শক তাদেরকে অগ্রাহ্য করতে পারেননি। এমনটা ঘটেছিল নূতন, সুচরিতাসহ অনেক নায়িকার বেলায়ই। নায়ক কিংবা প্রযোজককে বিয়ের পরও পুরনো ছন্দেই অভিনয় করে গেছেন তারা।

ওয়াহিদ সাদিককে বিয়ের পর এতটুকু ম্লান হয়নি শাবানার জনপ্রিয়তা। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বিয়ে করেন শাবানা। অপরিসীম দক্ষতায় ধরে রাখেন শীর্ষস্থান।

মূলত নব্বই দশক থেকেই বিয়ের নেতিবাচক প্রভাব তারকাদের ক্যারিয়ারে লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে নব্বই দশকের পর থেকে নায়িকারা বিয়ের ব্যাপারে সাবধান হয়ে যান।

মাহিয়া মাহি কোনো সর্তক সংকেতে কান দিলেন না। প্রেমবিষয়ক জটিলতা ও বিতর্ক আরো বেশি দানা বাধার আগেই গাঁটছড়া বাধলেন সন্তর্পণে। এখন ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি কী পদক্ষেপ নেন সেটাই পর্যবেক্ষণ করবেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

error: দুঃখিত!