আরাফাত রায়হান সাকিবঃ র্দীঘ একযুগের বেশি সময় পরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় আড়িয়ল বিলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে বিল সংলগ্ন গাদিঘাট গ্রামের ছাত্র সমাজের আয়োজনে দুই কিলোমিটার জুড়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি নৌকা বাইচ-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়। বাইচে অংশ নেয়, রঙ বেরঙের ও নানা সাজের এক ডজনের বেশি নৌকা।
নৌকা বাইচ দেখতে শুক্রবার বিকালে বিভিন্ন এলাকা দূর-দূরান্ত থেকে বিলে ভীর জমায় বিভিন্ন বয়সের শ্রেণি মানুষ। বিকালে বৈরী আবহাওয়ায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিল জুড়ে ছিলে মানুষের আনন্দ আমেজ। ট্রলার নৌকা যোগে বাইচের পথের দুইপাশে অবস্থান নেন নারী পুরুষরা। এ সময় তারা হাততালি ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বাইচে অংশ নেওয়া মাঝি মাল্লাদের উৎসাহ দেন। নারী-পুরুষের আনন্দ আমেজে বিল এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।
বাইচে অংশ নেয়া নৌকা গুলোর মধ্যে ছিলো লস্করপুর একতা, টাইগার কোষা, রাঢ়ীখাল এক্সপ্রেস, মধু মাঝি সবুঝ মাঝি ,লায়ন, অধিরপাড়া এক্সপ্রেস, শিকদার বাড়ি, মত্তগ্রাম এক্সপ্রেস-২, বুলেট, নিউ বুলেট, সোনার বাংলা সহ অন্যান্য। কোন নৌকায় ছিলো ৩০জন, ৫৫জন, কোন নৌকায় ৬২জন করে মাঝি। প্রতি নৌকায় ছিলেন ১জন করে গায়েন (পরিচালক)। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বৈঠা চালিয়ে মাঝিরা নৌকা চালিয়ে প্রতিযোগিতার পথ পাড়ি দেন।
স্থানীয় আব্দুল হালিম হালদার বলেন, আগে প্রতিবছর বিলে নৌকা বাইচ হতো। দল বেঁধে ট্রলার বাইচ দেখতে আসতাম, র্দীঘ ১২থেকে ১৫বছর পর আবারো বিলে নৌকা বাইচ হলো। স্থানীয় ট্রলার চালক বলেন, বহুদিন পরে হলেও বিল নৌকা বাইচ হওয়া সববয়সী মানুষই খুশি।
প্রথমবারের মতো নৌকবাইচ দেখতে আসা ছাত্র সাইফুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন বলেন, নৌকা বাইচের কথা শুনে আসতাম। এই প্রথম নৌকা বাইচ দেখলাম। খুব আনন্দ উৎফুল্ল লাগছে, প্রতিবছর এমন আয়োজন হলে গ্রামবাংলার এই ঐহিত্য টিকে থাকবে।
নৌকা বাইচে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু। এছাড়াও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী উপস্থিত ছিলেন। বাইচ শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।