মুন্সিগঞ্জ, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, বিশেষ প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে চেয়ারম্যান হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার জগলুল হালদার ভুতু। যার বিরুদ্ধে স্থানীয় হিন্দু পরিবারের সম্পত্তি দখল করে দেশত্যাগে বাধ্য করা, সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে হত্যা করা সহ বহু অভিযোগ এখন পুরোনো।
নতুন করে অভিযোগ উঠেছে ভুতু হালদারের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগটি করেছেন তারই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান।
নাহিদ খানের করা অভিযোগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভুতু হালদার ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এডিপি’র অর্থায়নে নিয়ম বহির্ভুতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন।
সূত্র জানায়, এডিপি’র অর্থায়নে টংগিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাস ষ্ট্যান্ড হতে রজতরেখা মডেল স্কুল আরসিসি রোড, আনোয়ার হালদার জামে মসজিদ হতে গারুরগাঁও মাছ বাজার পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা, সোনারং হাইস্কুল হতে কালু বেপারীর বাড়ীর পাকা রাস্তা- সংস্কার অংশ-১, সোনারং হাইস্কুল হতে কালু বেপারীর বাড়ীর পাকা রাস্তা- সংস্কার অংশ-২, সোনারং হাইস্কুল হতে কালু বেপারীর বাড়ীর পাকা রাস্তা- সংস্কার অংশ-৩ বিদ্যমান উপজেলা উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা ও বিধি অনুযায়ী যথাযথভাবে বাস্তবায়িত করা হয়নি। তাই তার বিরুদ্ধে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের সময় ‘উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি’র অনুমোদন নেননি। এ বিষয়ে যেহেতু আমি অভিযোগ দিয়েছি, বাকিটা তদন্তে বের হয়ে আসবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম এর সাথে ‘আমার বিক্রমপুর’ এর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।