২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | বিকাল ৫:৩৯
ঈদের পরদিনও শিমুলিয়া ঘাটে চাপ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৬ মে, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

ঈদের পরদিন মঙ্গলবারও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ১০ হাজার মানুষ পার করা হয়েছে।

তীব্র বাতাসে পদ্মা উত্তাল থাকার কারণে ৬টি টানা ফেরি চলতে পারছে না। তাই এখন ৪টি রোরো ফেরিসহ ১০টি ফেরি হরদম পরাপার করে চলেছে ঘাটে আসা যান ও মানুষজন। শুধু দক্ষিণবঙ্গেই যাচ্ছে না মানুষ একইভাবে কাঠালবাড়ি থেকেও ফেরি ভর্তি করে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিমুলিয়া আসছে হাজার হাজার মানুষ।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১২শ’ ছোট গাড়ি পার করা হয়েছে। সেই সাথে পার করা হয়েছে হাজারো মোটর সাইকেল। তব্যে পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হয়েছে কম। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৮ শতাধিক ছোট গাড়ি।

ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানযট। এ নৌরুটে ৪ শতাধিক স্পীডবোট ও ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করলেও গত ২৬ মার্চ থেকে এগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো এবং ঢাকাগামী মানুষ ভিড় করেছে ফেরিতে।

দু’পাড় থেকেই যাত্রী ও যানবাহন ভর্তি করে ফেরিগুলো গন্তব্যে পৌছাচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই যাত্রীরা পদ্মা পারি দিচ্ছে। বহু যাত্রী দক্ষিাণাঞ্চলে যাচ্ছে আবার ঢাকার দিকে যাচ্ছে যাত্রীরা।

ভাড়া করা মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস এমনকি ট্রাক-পিকাপে করেও যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। এতে তাদের গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ম্যানেজার প্রফুল্ল চৌহান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শিমুলিয়ায় মানুষ এবং গাড়ির ঢল নেমেছে। সকাল থেকে প্রায় ১০ হাজার যাত্রী এই ঘাট দিয়ে পার হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২শ’ ছোট গাড়ি পার করা হয়েছে। সেই সাথে পার করা হয়েছে মোটর সাইকেলও। পণ্যবাহী ট্রাক একেবারেই কম ছিল। সবই ছোট আকারের যানবাহন। প্রাইভেট কার ও মাইক্রোই বেশী। ৪ টা রো রো ফেরিসহ ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পার করেও কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। ঘাটে থাকা টানা ৬টি ফেরি পদ্মা উত্তাল থাকায় চলতে পারছে না। ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে যানযট। ঈদের আগেও ঘাটে যানজট ছিল না। আমরা চেষ্টা করছি যাতে যাত্রীদের দ্রুত পার করে দেওয়া যায়।