মুন্সিগঞ্জ, ১১ জানুয়ারি, ২০২২, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের বিখ্যাত আড়িয়াল বিলের আগাম উচ্ছের কদর বেড়েছে। পুষ্টিগুণে ভরা রিষ্টপুষ্ট হাইব্রিড জাতের এসব উচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন পাইকারী হাটবাজারে।
ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে থাকায় বিলপাড়ের কৃষকরা উচ্ছে চাষে লাভবান হচ্ছেন। পাইকারী দরে প্রতি কেজি উচ্ছে বিকিকিনি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। খুচরা বাজারে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে।
আগাম উচ্ছে চাষে লাভের আশায় বির্স্তীণ আড়িয়াল বিলের অসংখ্য ভিটায় এর চাষ করা হচ্ছে। বিল এলাকায় দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার কেজি উচ্ছের বিকিকিনি হচ্ছে।
স্থানীয় বাবু, রফিক, শাওন, মিরাজ, আরশাদ, লিটনসহ অনেকেই কৃষকের শাক-সবজি সংগ্রহ করে ঢাকার কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ি, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারীর কাঁচা বাজারে নিয়ে বিক্রি করে তারাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আড়িয়াল বিল সংলগ্ন গাদিঘাট, টেক্কার মার্কেট, নতুন বাজার, মত্তগ্রাম, বাড়ৈখালী, শ্রীধরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আগাম উচ্ছের পাশাপাশি লাউ, খিরাই, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপিসহ অন্যান্য শাক-সবজি কেনা-বেচা হচ্ছে। পাইকাররা প্রতি পালা (৫ কেজি) কৃষকের উচ্ছে ক্রয় করছেন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বিলের বিভিন্ন ভিটায় আগাম উচ্ছের চাষ করেছেন। গেল বছর উচ্ছে চাষে তেমন সুবিধা হয়নি। এ বছর উচ্ছের বাম্পার ফলন হয়েছে। ন্যয্য দামও পাচ্ছি। আগামী চৈত্র-বৈশাখ পর্যন্ত ভিটাগুলোতে উচ্ছের উৎপাদন হবে।
গাদিঘাটের সবজি ব্যবসায়ী মো. বাবু ও রফিক বলেন, সকাল থেকে ১ হাজার কেজি উচ্ছে সংগ্রহ করেছি। বিকাল পর্যন্ত কৃষকের উচ্ছে কেনা হবে। আজ ২ হাজার কেজি উচ্ছে ঢাকার কাওরান বাজারে নেওয়ার কার্গেট করছি। রাজধানির মানুষের কাছে বিষমুক্ত টাটকা এসব উচ্ছের চাহিদা ব্যাপক। পরিপুষ্ট এ ধরণের আগাম উচ্ছের চাষ এই অঞ্চলের একমাত্র আড়িয়াল বিলের ভিটায় হয়ে থাকে।