অভিজ্ঞতা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন হার্ডডিস্ক ক্রেতারা। ‘রি-সার্টিফায়েড’ সত্যায়নের নামে বিশ্ব সেরা হার্ডডিস্ক কোম্পানি ডব্লিউডি হার্ডডিস্ক নিয়ে চলছে এমন প্রতারণা।
মেয়াদ উত্তীর্ণ, পুরোনো, ব্যবহৃত ও ত্রুটিপূর্ণ হার্ডডিস্ককে নতুন করে মোড়কজাত করে সাশ্রয়ী দামের নামে দেশের বিভিন্ন আইটি মার্কেটে চলছে এই প্রতারণার মহোৎসব। বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইতোমধ্যে বেশ কিছু নকল হার্ডডিস্ক সনাক্ত করেছে দেশের অন্যতম প্রযুক্তি পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং ডব্লিউডি হার্ডডিস্কের বাংলাদেশী পরিবেশক কম্পিউটার সোর্স। বিষয়টি গোচরে আসায় স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার পাশাপাশি প্রতিটি আইটি মার্কেটে এ বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আসল ডব্লিউডি হার্ডডিস্ক সনাক্তকরণ ও বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে চালু করেছে ‘বাই ৪৮’ হলোগ্রাফিক স্টিকার। এ বিষয়ে কম্পিউটার সোর্সের পণ্য ব্যবস্থাপক (ডব্লিউডি) ও স্পেশাল বিজনেস ইউনিট প্রধান মেহেদী জামান তানিম বলেন, কেবল ডব্লিউডি নয়, ৪-৫ বছর আগে বন্ধ অথবা হার্ডডিস্ক তৈরিই করে না এমন নামের অনেক হার্ডডিস্কও বাজারে পাওয়া যায়। বাজার অনুসন্ধানে আমরা দেখেছি, ক্রেতারা হার্ডডিস্কের পেছনের লেখা কিংবা এর প্যাকেজিং যাচাই না করেই হার্ডডিস্ক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বাজার থেকে নষ্ট হার্ডডিস্ক সংস্কার করে এমন তা কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ক্রেতাদেরকে প্রতারিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, হার্ডডিস্কের পেছনে সাধারণত ‘রি-সার্টিফায়েড’ লিখিত এসব রিফার্বিসড হার্ডিস্কে ছয় মাসের মধ্যে ক্রুটি দেখা দেয়। এর মাধ্যমে কেনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাচার হতে পারে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেই আমরা হার্ডিস্কের ক্ষেত্রে ‘বাই-৪৮’ সেবা চালু করেছি। এর মাধ্যমে ক্রেতারা ডব্লিউডির আসল হার্ডডিস্ক চেনার পাশপাশি সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।