ঢাকায় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার পর টুঙ্গীপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার এই শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শোকের মাস অগাস্ট ঘিরে টানা কর্মসূচি শুরু হল আওয়ামী লীগের। ৪০ দিন ধরে নানা কর্মসূচিতে স্মরণ করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
১ অগাস্ট প্রথম প্রহরে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে এবং প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করে আওয়ামী লীগ।
সকাল সাড়ে ৬টায় দলীয় সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের সরকারি বাড়ি থেকে কয়েকটি বাসের বহর নিয়ে টুঙ্গীপাড়া রওনা হন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও এ বি তাজুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিৎ রায় নন্দী, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও রয়েছেন প্রতিনিধি দলে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে।
বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু; বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টু, পুলিশের বিশেষ শাখার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিলও নিহত হন সেই রাতে।
জাতির জনকের এ হত্যাকাণ্ড স্মরণে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে