মুন্সিগঞ্জ, ১৭ অক্টোবর, ২০২০, এম এম রহমান (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের উত্তর মাথায় জাজিরা যাওয়ার ব্রিজটির দু’পাশের রেলিং ধসে গেছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়েই মিনাবাজার এবং জাজিরা এলাকার যানবাহনগুলো চলাচল করছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির ৯৫ শতাংশ রেলিং ধসে গেছে। ব্রিজটির ৯৫শতাংশ স্থানে রেলিংয়ের কোন অস্থিত্ব নেই।
ব্রিজটির উত্তরপাশে ইটের রাস্তার খানাখন্দ আর দক্ষিন পাশে কাঁচা মাটির সড়ক। ব্রিজটিতে উঠতে অটো রিক্সা কিংবা যেকোন পরিবহন পড়ে ভোগান্তিতে।
ঝুঁকি নিয়ে বহুদিন ধরে এই ব্রিজটি দিয়ে চরাঞ্চলের সৈয়দপুর, জজিরা, সিকদারকান্দির লোকজন মিনাবাজারে যাতায়াত করে। পাশাপাশি এসব এলাকার লোকজন জাজিরা চরমশুরা হয়ে জেলা সদরে যাতায়াতেও ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ন।
সারাবছর সড়ক পথে জাজিরা, সিকদারকান্দি, বকচর সৈয়দপুরসহ ৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এই ব্রিজটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
গ্রামের অভ্যন্তরিন গ্রামগুলোতেও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দপুর গ্রামের প্রবেশ মুখেই ব্রিজটির অবস্থান। পাশেই স্থানীয় মিনাবাজার। এই বাজারের রাস্তাটি দিয়েই চলাঞ্চলের লোকজন নিয়মিত শহরে যাতায়াত করে। ব্রিজের দু”পাশের সংযোগ সড়কেও ব্যাপক খানাখন্দ। যেকোন পরিবহন এই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়েই। এতে করে একটি গাড়ী ব্রিজে উঠলে অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অন্যান্য পরিবহনগুলোকে। রেলিং না থাকায় নানা ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন জানান, এই ব্রিজটি বহু দিন ধরে এভাবে পড়ে আছে। রেলিংগুলো ধসে গেছে। ব্রিজটি সরু ও দু”পাশে রেলিং না থাকায় ঝুঁকিপূর্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এটাকে মেরামত করা দরকার। অন্যথায় যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।
গাড়ী চালক বজলু জানান, এই ব্রিজটি অনেক ঝুঁকিপূর্ন। দু’পাশের সংযোগ সড়কে খানাখন্দ। ব্রিজে উঠতে গেলে যাত্রী নামিয়ে ব্রিজে উঠতে হয়। মিনাবাজারে যেতে এই ব্রিজটি যান চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকিপূর্ন। দ্রুত এটাকে মেরামত করা প্রয়োজন।
মুন্সিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান বলেন, যেসব ব্রিজের রেলিং ধসে গেছে সেগুলোর তালিকা করা হয়েছে। প্রজেক্ট সাপোর্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ধসে পড়া ব্রিজগুলোকে দ্রুত সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।