(আমার বিক্রমপুর.কম)অতীতের কথা মনে পড়লেই অনেকের কাছে শুধু যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিগুলোই ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সুখস্মৃতি হাতড়েও অনেকে অতীতের সুখস্মৃতি মনে করতে পারেন না। কারো কারো জীবনের অতীত হয়তো এমনই যন্ত্রণাদায়ক থেকে থাকে। কিন্তু অতীত এমন একটি বিষয় যা ধরে বসে থাকলে শুধুই কষ্টটা বাড়তে থাকে। তাই অতীতটা ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু চাইলেই তো আর ভোলা যায় না অতীতের বিভীষিকা, তাই অনেকেই মনঃকষ্টে ভোগেন। আজকে কিছু কৌশল শিখে নিন যার মাধ্যমে অতীতটাকে একেবারে ভুলতে না পারলেও কষ্টটা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হবেন।
১) অতীতের মুখোমুখি হোন
অতীত যতো এড়িয়ে চলতে চাইবে ততোই তা আপনার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এরচাইতে অতীতের মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করুন। এতে যতো মুখোমুখি হতে থাকবেন ততো কষ্টটা ফিকে হয়ে আসতে থাকবে। এক সময় অতীতটা আপনাকে আর আগের মতো কষ্ট দেবে না।
২) অতীতের সব কিছু মুছে ফেলুন
কিছু ক্ষেত্রে অতীতের বেদনা তখনই মনে পড়ে যখন তার স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা এবং জিনিস সামনে আসে। যদি অতীতের কষ্ট ভুলতেই চান তাহলে এমন সব কিছু থেকেই দূরে সরে আসুন যা আপনাকে অতীত মনে করিয়ে দেয়। সব কিছু সামনে থেকে সরিয়ে ফেলুন। মুছে দিন সবকিছু। চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হওয়ার মতো একদিন স্মৃতিতেও ধুলো পড়ে যাবে।
৩) নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসুন
নিজেকে সাহসী করে তুলুন। নিজের মনে সাহস যোগান। নিজেকে বোঝান, নিজেকে দুনিয়ার সাথে লড়াই করার মতো করে গড়ে তুলুন। আপনি যতো শক্ত থাকবেন ততো আপনার মধ্যে অতীত সংক্রান্ত ভীতি কম জন্মাবে। নিজেকে শক্ত করতে পারলে কষ্টটাও কম লাগবে। অতীতের কষ্টটা এতো কঠিন মনে হবে না।
৪) নিজের ওপর জোর করবেন না
নিজের ওপর জোর করবেন না ভুলে যাওয়ার জন্য। আপনার ভুলে যাওয়ার জোরাজুরির কারণে হতে পারে তা আপনার সামনে আরও বেশী মনে পড়তে থাকবে। নিজেকে জোর করবেন না। যদি কান্না পেতে থাকে তাও আটকে রাখবেন না। ভেতরে থাকলে তা আপনার কষ্ট আরও বেশী বাড়াবে। তাই নিজেকে জোর করতে থাকবে না।
৫) নতুন স্মৃতির দিকে নজর দিন
অর্থাৎ বর্তমানটাকে বেশী মনে করুন, এই সম্পর্কে বেশী চিন্তা করুন। নিজেকে এর মাঝে ব্যস্ত রাখলে অতীত ভুলে যাওয়া খুব কঠিন কিছুই নয়। নতুন নতুন স্মৃতি যতো গড়বে পুরনোটার কথা আপনাআপনিই ভুলে থেকে থাকবেন।
সূত্র: 2knowmysel