১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ৪:৩২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি: শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়ায় ২’শত পরিবার পানি বন্দি
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৮ জুলাই, ২০২০, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকায় প্রায় ২’শত পরিবার এখন বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে পরেছে।

পদ্মা নদীর তীর ঘেসা বাঘড়া ইউনিয়নের ১নং ও ৪নং ওয়ার্ডে তালুকদার বাড়ি নামক খালের ওপর স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ খান, রুবেল খান, জব্বর, সাজেদা, রফিক মিয়া, খালেক, আব্দুল সাত্তার, রফিক, কামাল কাজী, ইউসুফ কাজী, আক্তার কাজীসহ অনেকেই খাল বাঁধ দিয়ে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করায় বন্যার পানি এখন আবাসিক এলাকায় ঢুকে পরছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এতে করে করোনা মোকাবেলায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পানি বন্দি হয়ে আরোও বেকায়দায় পরে। এতে করে গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকার পানি বন্দি পরিবার গুলোর কাছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তালুকদার বাড়ি খালটির বিভিন্ন স্থানে ২০-২৫টি বাঁধ দিয়ে রাখা হয়েছে। ওই বাঁধগুলো স্থানীয় বসত বাড়ির রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও কাঁঠাল বাড়ির ইট সলিং রাস্তাটি ওই খালের ওপর দিয়ে নির্মাণ করায় খালে পানি চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাঘড়া এলাকার তালুকদার বাড়ি নামক খালটি একদিকে পদ্মা নদী অপরদিকে সরাসরি আড়িয়লবিলের সংযোগ স্থল হিসেবে পরিচিত। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই খালে ব্যক্তি স্বার্থে এসব বাঁধ দেয়ার কারণে খালে পানি প্রবাহে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। খালে পানির চাপ থাকায় এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ও বসত বাড়িতে এখন পানি ঢুকে পরে। এতে করে বাঘড়া এলাকার প্রায় ২’শত বসত বাড়ির উঠোনে হাঁটু ও কোমর পানি দেখতে পাওয়া গেছে। পানি বন্দি কয়েক হাজার মানুষ এখন চরম দুর্ভোগের স্বীকার।

অন্যদিকে বাঘড়া বাজারেও বন্যার পানি ঢুকে পরায় দোকানী ও স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। লক্ষ্য করা গেছে এলাকার প্রায় পাকা/কাঁচা রাস্তাই এখন পানি নিচে। বয়স্ক নারী পুরুষসহ শিশুরাও জামা কাপড় ভিজিয়ে প্রায় কোমর পানি ভেঙে তারা প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করছেন। দুর্ভোগ লাঘবে অনেকেই বাড়িতে বাড়িতে বাশের সাকো নির্মাণ করে স্থানীয়দের পরাপার হতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, তালুকদার বাড়ি খালের ওপর একাধিক বাঁধ থাকায় হঠাৎ বন্যার পানি বন্দির স্বীকার হচ্ছেন তারা। পদ্মা নদীতে পানির চাপ বেশী থাকায় স্থানীয় খালের ওপরেও তার প্রভাব পরেছে। যদি খালে বাঁধ না থাকতো, তাহলে তারা পানি বন্দি হয়ে পরতেনা বলে অভিযোগ করেন। অপর একটি সূত্র জানায়, এলাকাবাসী খালের বাঁধ অপসারণের দাবী জানালে বাঁধ নির্মাণকারীদের তোপের মুখে পরেন তারা।

বাঘড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ইউপি সদস্য আনোয়ার ও আক্কাসকে বাঁধ কাটার জন্য বলেছি। এপর্যন্ত কয়েকটি বাঁধ কাটা হয়েছে। এছাড়াও জনসাধারণের চলাচলে ওই খালের ওপর একটি ইটের রাস্তা রয়েছে। পানি নিস্কাশনের জন্য ইউএনও স্যারের আদেশক্রমে আগামীকাল রাস্তার কিছু অংশ কাটলে পানি আড়িয়লবিলের দিকে চলে যাবে।

error: দুঃখিত!