মুন্সিগঞ্জ, ১৫ আগষ্ট, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু থেকে লাফ দিয়ে ধলেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ রাসেল (১৮) এর মরদেহ পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) রাত ১০ টা’র দিকে মুক্তারপুর সেতু সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ।
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ রাসেল (১৮) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করে।
গেল শনিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের দশকানি এলাকার ভাড়াটিয়া হামিম (১৮) ও রাসেল (১৮) নামের দুই তরুণ মুক্তারপুর সেতু থেকে শখের বসে লাফ দেন। এর মধ্যে হামিম পানিতে ভারসাম্য ধরে রাখতে সক্ষম হন। কিন্তু মুহুর্তেই ভারসাম্য হারিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তারই বন্ধু রাসেল (১৮)। তার বাবার নাম হেলাল বেপারি। দুজনেরই দাদা বাড়ি বরিশালে।
রাসেল ও হামিম বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত ডে আর ইন্টারন্যাশনাল হ্যাঙ্গার ফ্যাক্টরিতে দীর্ঘদিন যাবৎ একসাথে কাজ করতেন। শনিবার কাজ শেষ করে গোসল করতে তারা মুক্তারপুর সেতু সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে যান। পরে তারা সেতু থেকে লাফ দেয়ার উদ্দেশ্যে সেতুতে উঠেন।
নিহত রাসেলের বন্ধু হামিম গতকাল আমার বিক্রমপুর কে জানান, রাসেল লাফ দিতে চায়নি। ভয় পাচ্ছিলো। আমি বলেছি ভয় পেলে লাফ দেয়ার দরকার নেই। কিন্তু ও বলে তু্ই যদি লাফ দেছ পরে আমি দিবো। আমি রাজি হই- এরপর আমি লাফ দেই। কিছুক্ষণের মধ্যে রাসেলও লাফ দেয়। কিন্তু লাফ দেয়ার পর রাসেল আর উঠতে পারেনি। তখনি সে ডুবে যায়। এসময় আমরা কোন ভিডিও করিনি। আর টিকটকও করিনি। এসময় আমাদের আরও দুই বন্ধু ব্রিজের উপরে ছিলো।
আমি পরে সাতরে তীরে এসে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করি। পরে জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও তাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু সেদিন নিখোঁজ রাসেলের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।