করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির শরীরে তিন ঘণ্টা পর আর ভাইরাসের কার্যকারিতা থাকে না। পারিবারিক কবরস্থানেই দাফন করা যাবে।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে মৃতব্যক্তির লাশ দাফন সম্পর্কে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিমা সুলতানা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলেছে, এটা প্রমাণিত হয়নি মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। মৃতদেহ সৎকার করতে ৩-৪ ঘণ্টা সময় লেগেই যায়। ৩ ঘণ্টা পরে এই ভাইরাসের আর কার্যকারিতা থাকে না মৃতব্যক্তির শরীরে। সেজন্য মৃতদেহ থেকে ভাইরাস ছড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।’
নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর মৃতদেহের সৎকার যেকোনো জায়গায় করা যাবে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা গোরস্থানে কিংবা পারিবারিক কবরস্থানে মৃতদেহ দাফন করতে পারবেন। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাদের বিধি অনুযায়ী যেকোনো জায়গায় মৃতদেহের সৎকার করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন, সৎকার বা ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের (ডিজিএইচএস) ওয়েবসাইটে রয়েছে। তবুও বিশেষভাবে সবার অবগতির জন্য বলতে চাই, মৃতদেহ নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করে দাফন বা সৎকার করা যায়।’
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বডি ব্যাগ বা তা না পাওয়া গেলে পলিথিনে মুড়িয়ে স্থানান্তরের জন্য মনোনীত কবরস্থান বা পারিবারিকভাবে নির্ধারিত স্থানে দাফন করা যাবে। শুধু করোনায় মৃত হিসেবে আলাদা কোনো কবরস্থান নির্দিষ্ট করার দরকার নেই। পারিবারিক কবরস্থানেই এই মৃতদেহ দাফন করা যাবে এবং অন্য ধর্মের জন্য সৎকার করা যাবে।