মুন্সিগঞ্জ, ২১ জুন, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার যশলং ইউনিয়নে এক প্রবাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম ও গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ উঠলেও তা প্রত্যখান করেন প্রবাসী আজিজুর রহমান।
তিনি দাবি করেন, শশুড় ও স্ত্রী’র ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়ায় দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তার বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ‘অথচ আমি দীর্ঘ ৬ বৎসর যাবৎ একটি বাচ্চার জন্য মুন্সিগঞ্জ সহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে একাধিকবার আমার স্ত্রী তানিয়া আক্তারের চিকিৎসা করিয়েছি। বাচ্চার জন্য যেখানে আমি ৭-৮ লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করেছি সেখানে প্রশ্নই আসে না বাচ্চা নষ্ট করার।’
জানা যায়, টংগিবাড়ীর যশলং ইউনিয়নের হাটখান গ্রামের সিদ্দিক মাদবরের পুত্র সৌদি প্রবাসী আজিজুর রহমান (৩৮) এর সাথে ২০১৪ সালে একই গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে তানিয়া আক্তার (২৮) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে কোন সন্তান ছিলো না। ৬ বৎসর দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন চিকিৎসা করানোর পর ২০২০ সালে তানিয়ার গর্ভে বাচ্চা আসে। এরপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগে টংগিবাড়ী থানায় মামলা করেন তানিয়া।
প্রবাসী আজিজুর রহমানের মেঝো ভাবী শিল্পী বেগম (৪০) বলেন, ‘গত ২ জুন (মঙ্গলবার) রাতে আমাদের বাসায় চোর আসে। এটা নিয়ে বাসায় হুলস্থুল হয়। আমার দেবর প্রবাসী আজিজুর রহমানের সাথে এসব নিয়ে তানিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তানিয়া বাসা থেকে তার বাবার বাসায় চলে যেতে চায়। এরপর তানিয়ার শশুড় সকাল ৭ টার দিকে তার বাসায় দিয়ে আসে। এসময় সে সুস্থ ছিলো। এরপর ১৪ জুন সন্ধ্যায় তানিয়া আমাদের জানায় তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হেয়ে গেছে
প্রবাসী আজিজুর রহমানের মেঝো ভাই তাজুল ইসলাম মাদবর (৫৫) বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ। মিথ্যা মামলা। আমার বৃদ্ধ বাবাকে হয়রানি করতেই মামলায় তার নাম দেয়া হয়েছে। তানিয়া আমার ভাইয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১০-১২ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়া ১৫-২০ ভরি স্বর্ণ আত্মসাৎ করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজুর রহমানের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২৮) সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে অসুস্থ বলে আবারও কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গত ১৮ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রবাসী আজিজুর রহমান ও তার বাবাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির বর্তামানে তদন্ত চলছে।