মুন্সিগঞ্জ, ২০ জুন, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিন পর মৃত অবস্থায় তুহিন বেপারি (১৪) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে কিশোরকে বাকবিতন্ডার জের ধরে হত্যা করে তার বন্ধু মেহেদি হাসান।
পুলিশ বলছে, গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছে মেহেদি।
নিহত তুহিন মুন্সিগঞ্জ শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার মো. মামুন বেপারির ছেলে। সে একই এলাকার বন্ধু মেহেদী (১৯) ভাড়ায় চালিত মিশুক চালানোর দ্বন্দে খুন হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, তুহিনের বন্ধু মেহেদী হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার রহম আলীর কাছ থেকে একটি মিশুক ভাড়া নেয়। তুহিন গত মঙ্গলবার সেই মিশুকটি মেহেদীর কাছ থেকে ভাড়া নেয়। মঙ্গলবার সন্ধার পর থেকে তুহিন নিখোঁজ হয়। গত শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভোতারচর এলাকায় মেঘনার শাখা নদী থেকে তুহিনের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর মিশুকের মালিক, তার ছেলে ও মেহেদি সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তুহিনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে মেহেদি।
শনিবার দুপুরে আদালতে জবানবন্দিতে মেহেদি জানায়, সে অসুস্থ থাকায় তাঁর বন্ধু তুহিনকে মিশুকটি চালাতে দেয়। মঙ্গলবার দুপুরে তুহিনের কাছে মিশুক চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডায় হয়। মঙ্গলবার সন্ধার দিকে যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার যায় তুহিন। সে সময় মেহেদিও সাথে ছিল। যাত্রী নামানোর পর মিশুকটি নিয়ে আবারো দুজনের মধ্যে দ্বন্দ হয়। একপর্যায়ে নদীর পার নির্জন স্থানে হাতাহাতি হয় তাদের। মার খাওয়ার কারণে তুহিন জ্ঞান হারায়। এসময় মুখ, হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় তুহিনকে।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় তুহিনের বাবা মামুন বেপারি বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছে। মেহেদিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।