মুন্সিগঞ্জ, ২৯ আগস্ট, ২০২২, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার মালিকানাধীন দুইটি জাল আয়রনের ফ্যাক্টরি থেকে কারেন্ট জাল উদ্ধারের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করেছে নৌ পুলিশ।
মামলায় গোলাম মোস্তফাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা এই
মামলা নং ৫৪ (০৮) ২২ ও ৫৫ (০৮) ২২।
বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দেয়া গোলাম মোস্তফা পেশায় মুলত একজন ব্যবসায়ী। পঞ্চসারের অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসার বড় নিয়ন্ত্রকও তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের গোসাইবাগ পান্না
সিনেমা হলের পিছনে শনিবার গোলাম মোস্তফার মালিকানাধীন জিএম কর্পোরেশন নামে একটি ও ডিঙ্গাভাঙ্গায় তারই মালিকানাধীন সওবান কারখানা থেকে আড়াই কোটি মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
এ নিয়ে গত রোববার মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশন।
এতে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ডিঙ্গাভাঙ্গা কারখানার ম্যানেজার মোশারফ হোসেন মেম্বার ও গোসাইবাগ কারখানার ম্যানেজার মাসুদ মিয়াকে।
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস এম আব্দুস সোবহান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কারেন্টজাল তৈরি করে তা বাজারজাত করে চলেছে।
সরকার নিষিদ্ধ এই কারেন্ট জালের কারণে মৎস্য সম্পদের অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
এর আগে শনিবার নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের একটি চৌকস দল এ অভিযানে ৮০ বস্তা ভর্তি নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে। যার আনুমানিক দৈর্ঘ্য ২ কোটি ৫১ লক্ষ মিটার।
সাথে বিপুল পরিমান অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরির সরঞ্জামাদিও জব্দ করে। বিভিন্ন সময়ের অভিযানে অন্যান্য কারখানা থেকে কারেন্ট জাল উদ্ধার হলেও কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণনের মূল হোতা পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ছিল ধরাছোয়ার বাইরে।
নৌ পুলিশ জানায়, মূল হোতা এবার আইনের আওতায় আসায় কারেন্ট জাল বন্ধ করা সহজ
হবে।