খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক এলাকায় সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই ও নানা অভিযোগের মধ্যে শেষ হয়েছে ৭১২
ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদের ভোট গণনাও শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, অনিয়ম ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়।
বিচ্ছিন্নভাবে এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হলেও পুরো ইউনিয়নে ভোট স্থগিতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ মনে করছেন, প্রথম পর্বের নির্বাচনে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
দলীয় প্রতীকে প্রথম এই ইউপি ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, প্রথম পর্বের সাড়ে ৭ হাজার কেন্দ্রে সহিংসতা-সংঘর্ষ তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
উৎসব আমেজে ভোট হয়েছে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি করলেও বিএনপি অভিযোগ করেছে, ভোট জালিয়াতি হয়েছে ব্যাপকভাবে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কাছে অভিযোগ নিয়ে দেখা করতে গেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, সুজাউদ্দিন, মনিরুল হক চৌধুরী ও কলিম উদ্দিন মিলন।