৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৯:০০
হুন্ডার বহর-গুন্ডার বহর দেখে ভয় পাবেন নাঃ সাত্তার
খবরটি শেয়ার করুন:

সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো:আবদুল সাত্তার (নৌকা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

প্রতিদিনই তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক করে ঘরোয়া পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো:আবদুল সাত্তার এর ফিরিঙ্গী বাজারস্থ নিজ বাস ভবনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা তার (নৌকা) সমর্থীত ২ শতাধীক মহিলা নেতা কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন সম্পর্কিত দিক-নির্দেশনা মূলক আলোচনা বৈঠক করেন।

এ সময় মো: আবদুল সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক বিচক্ষণতা রয়েছে বলেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের (নৌকা) প্রতীক আসন্ন পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করতে আমাকে উপহার দিয়েছেন।

অথচ মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও তাদের পরিবারের লোকজনরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা প্রতীকের প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছেন।

মো:আবদুল সাত্তার আরো অভিযোগ করে বলেন, নেতাকর্মীদের পদ-পদবী কেড়ে নেওয়া হবে এমন ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি দিয়ে পঞ্চসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর (আমার) নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও তাদের পরিবারের লোকজনরা।

তাদের সহিংস কথাবার্তার ভয়ে পঞ্চসার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আমার (নৌকা) প্রতীকের পাশে নেই। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এখন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের ভাই, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফার কর্মী হয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কাজ করছেন। এ ঘটনা নিন্দাজনক এবং র্নিলজ্জতার।

আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো:আবদুল সাত্তার আলোচনা বৈঠকে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

তিনি জোড়ালো ভাষায় অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফার বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় উপস্থিত হয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিনের পরিবারের লোকজনরা প্রকাশ্যেই বক্তব্যের মাধ্যমে ঘোষণা দিচ্ছেন, নির্বাচনের দিন পঞ্চসার ইউনিয়নে ২৫ হাজার বহিরাগত (সশস্ত্র) লোকজন প্রবেশ ঘটানো হবে। নৌকা প্রতীক (আমাকে) পরাজিত করার জন্যে। কিন্তু তাদের এই স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন থেকে যাবে।

মো:আবদুল সাত্তার বলেন, পঞ্চসারের ভোটাররা আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করার জন্যে যোগ্য মনে করছেন। দল এবং আমার নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিও আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। সে জন্যই তিনি আমাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন। এই নৌকা প্রতীক নিয়েই আমি এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করছি। অথচ অপর দিকে আমাদের বিশাল ভোট যুদ্ধ রয়েছে বিএনপি প্রার্থীর (ধানের শীষ) সঙ্গে। অন্যদিকে আমাদের দল আওয়ামীলীগের একটি অংশ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে বিশাল অংঙ্কের টাকা খেয়ে তার নির্বাচন পরিচালনা করছেন! এটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্যে অসম্মানজনক।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মো:আবদুল সাত্তার নির্বাচন সম্পর্কিত দিক-নির্দেশনা মূলক আলোচনা বৈঠকে উপস্থিত মহিলা সমর্থক ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা হুন্ডার বহর, গুন্ডার বহর, অস্ত্রের বহর দেখে ভয় পাবেন না।

এসব হুন্ডা-গুন্ডা, অস্ত্রের ঝনঝনানির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনারের কাছে ও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তারা বলেছেন, দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।পঞ্চসারের ভোটাররাই নৌকা প্রতীকের শক্তি। আপনাদের সমর্থনই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে।

এদিকে,স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে আওয়ামীলীগের মনোনীত এই চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল সাত্তার বলেন, পঞ্চসার ইউনিয়নের নির্বাচন যাতে সুষ্ট-অবাধ নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে ব্যাপারে স্থানীয় সব প্রশাসনকে সজাগ থাকার জন্যে তাদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, এই ইউনিয়নে ৪টি ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে নয়াগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পঞ্চসার দারুল সুন্নাহ সিনিয়র মাদ্রাসা এবং পঞ্চসার জিয়সতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। নির্বাচনের দিন এ কেন্দ্র গুলোতে বিশেষভাবে নজরদারী দিতে হবে বলেও নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

আগামী ৭ মে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই ইউনিয়নে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৫০১৭৭। পুরুষ ভোটার ২৬৪০৪জন এবং মহিলা ভোটার ২৩৭৭৩জন। মোট ভোটকেন্দ্র-২১টি।

error: দুঃখিত!