সদর উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুক্তারপুর- সিপাহীপাড়া সড়কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিপাহীপাড়া চৌরাস্তায় রাস্তার পাশে দেদারছে ময়লা-অাবর্জনা ফেলা রোধ ও জমানো ময়লা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেই কারও।
এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও ‘দেখেও না দেখার ভান’ ধরে অাছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে (২১ জানুয়ারি) রবিবার সন্ধ্যায় উল্লেখিত স্থান ও অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে অাসেন সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস।
তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে নাগরিক দূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সমাধানের অাশ্বাস দেন।
এদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী হচ্ছেন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতরত সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে ভাসমান যাত্রী, স্কুল-কলেজগামী অল্পবয়সী শিশু-কিশোর, বৃদ্ধা-বয়স্কা ও নারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রামপাল এন বি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিফতাহুল জান্নাত ‘অামার বিক্রমপুর’ কে বলেন, এই সড়কে দিনের প্রায় সময়ই যানজট থাকে, তার উপর সড়কটিও সরু। এসব মোকাবেলা করেই এই সড়ক দিয়ে অামাদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এইরকম রাস্তার উপরে ময়লা-অাবর্জনার স্তুপ এর কারনে সড়কের এই পাশ এড়িয়ে চলতে হয়। তাছাড়া এদিক দিয়ে হাটার সময় প্রচন্ড দূর্গন্ধ নাকে অাশে। এর কারনে মানসিক পরিবর্তন ও বিষাদ চলে অাসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এই স্থানটিতে প্রকাশ্যে ময়লা অাবর্জনা ফেলার পেছনে দায়ী স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ী, রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ও অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকান ব্যবসায়ীরা।
এর মধ্যে ধানসিড়ি রেষ্টুরেন্ট, কিংস সাজ ঘর, রজনীগন্ধা পুষ্পালয়, মালঞ্চ পুষ্পালয়, রিতু পুষ্পালয়, বৈশাখী পুষ্পালয়, হাসান পুষ্প সমাহার, মনিরের রেষ্টুরেন্ট ও স্থানীয় চা-পানের দোকানদাররা প্রতিদিনই দ্রুত পচনশীল ময়লা ফেলে যা থেকে খুব দ্রুতই দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরে।
তবে এখনো এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।