মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ তাবলিগ জামাতের তিনদিনের আঞ্চলিক ইজতেমা মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে মিরকাদিমে শুরু হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে ইতোমধ্যেই অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর ঢাকার কাকরাইল মসজিদের বড় হুজুরদের আমবয়ানের মাধ্যমে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকেই ইজতেমা ময়দানে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান, ইবাদত বন্দেগির নিয়ম-কানুন ও করণীয় নিয়ে বয়ান শুরু হয়।
আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ইজতেমায় ইমান, আমল ও আখলাকসহ তাবলিগের ছয় উসুল বা মূলনীতির ওপর বয়ান করবেন শীর্ষ মুরব্বিরা।
তিনদিনের এ আঞ্চলিক ইজতেমা শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
মিরকাদিম পৌরসভার পাঁচটি বিশাল আকারের মাঠে লক্ষাধিক মুসল্লির জন্য আয়োজিত এ ইজতেমাকে ঘিরে সব সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম (পিপিএম) জানিয়েছেন, ইজতেমার ময়দানগুলো জুড়ে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার চার শতাধিক সদস্য, ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার থাকবে।
এছাড়া এখানে থাকবে ৩টি মেডিকেল ক্যাম্প, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট থাকার পাশাপাশি রয়েছে ৩৫০টি প্রসাবখানা, ৫১২টি টয়লেট। ৮টি মোটরের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, নদীর তীর ছাড়াও গোসল করার জন্য ১৪টি বাত হাউজের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে, রয়েছে ওযুধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। ৮০টি মাইকের মাধ্যমে মূল বয়ানের মঞ্চ থেকে প্রতিটি মাঠে শব্দ সম্প্রচার চলবে একযোগে। পাঁচটি মাঠের প্যান্ডেলকে আলোকিত রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে ২ হাজার লাইট।
ইজতেমার মাঠ পরিচালক ও প্রধান জিম্মাদার ফজলুল হক জানান, ৬৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লিদের জন্য রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পাঁচটি মাঠকে চারটি ভাগে ভাগ করে ছয়টি উপজেলার মুসল্লিদের জন্য সুনিদিষ্টভাবে ভাগ করে দিয়ে প্রতিটি ময়দানের জন্য আলাদা জিম্মাদার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইজতেমা শেষে এ ময়দান থেকেই তাবলিগের তিনশ’ টিম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হবে।