২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ২:৪৩
সরকারি হরগঙ্গা কলেজে ছাত্রদের আবাসন–সংকট প্রকট
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্রের জন্য ছাত্রাবাস মাত্র একটি। এতে আসন আছে মাত্র ৯৬টি। কয়েক হাজার ছাত্রের জন্য আবাসন-সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাঁদের থাকতে হচ্ছে মেসে ও ভাড়াবাড়িতে। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।

কলেজ কতৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি কোর্স ছাড়াও ১৫টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও সাতটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় নয় হাজার। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র। ছাত্রীদের জন্য একটি ছাত্রীনিবাস রয়েছে। ছাত্রদের জন্য দুটি ছাত্রাবাস ছিল। এর মধ্যে ১৯৪০ সালে নির্মিত ২০০ আসনের হরগঙ্গা মহাবিদ্যালয় ছাত্রাবাসটি ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে মাত্র ৯৬ আসনের একটি ছাত্রাবাস (জিয়াউর রহমান হল) রয়েছে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদের তীব্র আবাসন-সংকট চলছে।

কলেজপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন একই কলেজের ছাত্র চাঁদপুরের মো. রায়হান। তিনি বলেন, তার মতো হাজারো ছাত্রকে মেসে কিংবা ভাড়াবাড়িতে থাকতে হয়। পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে তাঁকে যে টাকা পাঠানো হয়, এর বেশির ভাগই শেষ হয়ে যায় বাড়িভাড়ার খাতে। কিন্তু কলেজের হলে থাকতে পারলে তাঁর এই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হতো না। পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিতে পারতেন। ছাত্রদের কথা চিন্তা করে শিগগির নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণ করা উচিত।

জিয়া হলে থাকেন বিকাশ কুমার রায়। তিনি বলেন, হলের অবস্থাও করুণ। একটি মাত্র হল থাকায় সেখানে ছাত্রদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। অনেক সময় মেঝেতে ঘুমাতে হয়। বিপুলসংখ্যক ছাত্রের বিপরীতে একটি মাত্র ছাত্রাবাস কিছুই নয়। ছাত্রদের থাকার জন্য যত দ্রুত নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে, ততই মঙ্গল।

কলেজের উপাধ্যক্ষ সাহেদুল কবির বলেন, ‘পুরাতন ছাত্রাবাসটি ভেঙে ফেলতে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের কাজ চলছে। নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এই আবাসন-সংকট মোচন হবে না। আমরা নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. এনামুল হক মোশাররফ বলেন, পুরাতন ছাত্রাবাসটি নিলাম ডাকার জন্য এর মূল্য ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তা ওই অবস্থাতেই পড়ে আছে।

error: দুঃখিত!