মুন্সিগঞ্জ, ৭ মে, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করতে গিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
এসময় উপস্থিত কয়েকজনকে ‘ধর ধর’ স্লোগান দিতেও শোনা গেছে।
আজ শনিবার (৭ মে) শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের কালী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে একটি রুমে অবরুদ্ধ করা হয়। রুম থেকে বের হয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠার সময় জনৈক ব্যক্তিকে তার উপর হাত তুলতে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ‘আমার বিক্রমপুর’ এর কাছে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ হাঁসাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছিলো। বিকাল ৩টার দিকে সম্মেলনের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান কাউন্সিলরদেরকে হাঁসাড়া কালী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নেন।
সেখানে সভাপতি পদে পূর্বের কমিটির সভাপতি আহসান হাবীবের সাথে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব খান ও আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন মুকুল প্রতিদ্বন্দিতা করলেও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জসিম উদ্দিন মুকুলকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করেন। এসময় উত্তেজনা শুরু হয় এবং কাউন্সিলরদের একাংশ ভোট দাবী করে স্লোগান দিতে শুরু করে।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এসময় দুটি প্যানেলের কথা উল্লেখ করে বলেন এক প্যানেল থেকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে তাই অপর প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হল। আপনারা যেহেতু এই সিদ্ধান্ত মানছেন না তাই সম্মেলন স্থগিত করা হলো এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই বক্তব্য শেষ করে তিনি নেতা-কর্মীদের সহায়তায় দোতলা থেকে নীচে নেমে আসেন।
গাড়িতে উঠার আগে উপস্থিত কয়েকজন পেছন থেকে তার গায়ে হাত তোলেন এবং কলেজের গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং গেটের তালা ভেঙ্গে তাকে বহনকারী গাড়িটি পার করে দেয়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং হাঁসাড়া এলাকায় অবস্থান নেয়।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, হাঁসাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।