৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১২:৫৮
সংসদে মুন্সিগঞ্জে ‘আলু গবেষণাগার’ নির্মাণের দাবি জানালেন এমপি মহিউদ্দিন
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৭ জুন ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

জাতীয় সংসদে বক্তৃতাকালে আলুর জন্য প্রসিদ্ধ মুন্সিগঞ্জ জেলায় একটি ‘আলু গবেষণাগার’ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া তিনি শ্রীনগর উপজেলায় ইপিজেড স্থাপনের দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের উপর প্রায় ৯ মিনিট বক্তব্য দেন তিনি। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মহিউদ্দিন আহমেদকে দুই দফায় দুই মিনিট করে ৪ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ তার বক্তৃতায় বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ছিলো বাংলার রাজধানী। বিক্রমপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ জনপদ। এখানে প্রাচীন কৃষিপদ্ধতি যেমন রয়েছে- আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই এলাকার বিভিন্ন প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন এই সৌন্দর্য্যকে আরও পরিপূর্ণ করেছে। এই বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেছি বলে আমি নিজেকে অত্যন্ত ধন্য মনে করি। বিক্রমপুর অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী একটি জেলা। সময়ের দাবি- ইতিমধ্যেই মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে গবেষণাধর্মী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিক্রমপুরবাসীর পক্ষ হতে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বিক্রমপুর নামটির ঐতিহ্য বিবেচনা করে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আমাদের গ্রামগুলোর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। দেশের সিংহভাগ আলু মুন্সিগঞ্জে উৎপন্ন হয়। এখানে একটি ‘আলু গবেষণাগার’ একান্ত প্রয়োজন।’

সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘রাজধানীর সন্নিকটে হওয়ায় শিল্প-কারখানা স্থাপন তথা আমার নির্বাচনী এলাকার শ্রীনগরে একটি ইপিজেড স্থাপন করা প্রয়োজন। সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা বাজারে ধলেশ্বরী নদীর উপর একটি ব্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন। সিরাজদিখান-শ্রীনগর উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠগুলো অত্যন্ত নিচু। এই মাঠ ভরাট করে ছেলেমেয়েদের খেলার উপযোগী করা প্রয়োজন।’

বক্তৃতার শুরুতেই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়ে এমপি মহিউদ্দিন বলেন, ‘এবারের বাজেট ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই বাজেটে বেশ কিছু আকর্ষণীয় দিক রয়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। আমি সিরাজদিখান উপজেলার একটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলাম, ৩ বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম, ১ বার জেলা পরিষদের সদস্য ছিলাম। স্থানীয় সরকারের উপরে অনেক বাজেট আমার হাতে তৈরি হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে- এই বাজেট গণমুখী ও মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।’

error: দুঃখিত!