মুন্সিগঞ্জ, ২৩ নভেম্বর, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভাগ্যকুল ভূমি অফিসের পাশে মৃত গনেন্দ্র মালোর পুত্র বাসু মালো গংদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে মালিকানা সম্পত্তি দাবী করে বাসু মালো সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে ওই সম্পত্তিতে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অজিত মালোর সহযোগিতায় তার ছোট ভাই বাসু মালো ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের ফ্লোরে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন শ্রমিক দ্রুত সটকে পড়ে। নির্মাণাধীন ওই ভবনের পশ্চিম পাশে একটি লাল নিশান হেলানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় বাসু মালোর ভাই অজিত মালো এসে প্রথম দাবী করেন কাজ বন্ধ। শ্রমিকদের মাটি ভরাটের কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসিলদারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ভবনের এই অংশ বাদ দিয়ে কাজ করতে বলেছেন।
দখলকারী বাসু মালোর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, অজিত মালো বলেন আপনারা আমার সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে ভাগ্যকুল ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন। তিনি বলেন, পুরো ভবনের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যেখানে আমার এসিল্যান্ড স্যার নিজেই লাল নিশান টাঙ্গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন, সেখানে আমি তাদেরকে কিভাবে পারমিশন দেই? তারা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনে ও রাতে ভবন নির্মাণের চলমান ঘটনা ছাড়াও সরকারি সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার একাধিক ঘটনা আছে অজিত মালোর বিরুদ্ধে।
তারা জানান, বসত বাড়ির পাশে হঠাৎ এক রাতে সরকারি জায়গায় মন্দির বানিয়ে প্রতিমা স্থাপন করেন। মন্দিরটি এখনও দৃশ্যমান রয়েছে। এছাড়া ভাগ্যকুল বাজার সংলগ্ন খালপাড়ে সরকারি সম্পত্তিতে কয়েকটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন অজিত মালো। সরকারি সম্পত্তি দখলকারী অজিত মালো গংদের এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসিলদার সব জেনেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ জানান, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দিয়ে এসেছি। এর পরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যদি সরকারি ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ কাজ করার প্রমান মিলে তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।