মুন্সিগঞ্জ, ৩ জুলাই ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
পদ্মা সেতুর কাজের ‘ক্লোজিং’ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার (৫ জুলাই) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্ত মাওয়ায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতুর নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশে ফিরে যাবেন ওই দেশের কর্মীরা। তাঁদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মাওয়া আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে বর্ধিত সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ সংগঠনগুলো।
৫ জুলাই পদ্মা সেতু কাজের ‘ক্লোজিং’ উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সুধী সমাবেশে সকলের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। তাই মাওয়ার প্রতিটি রাস্তায় দুই পাশে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে ৫০ হাজার লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের মঞ্চসজ্জা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কাজ। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে মাওয়া প্রান্তে। সুধী সমাবেশের পূর্বে প্রধানমন্ত্রীকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বরণ করে নেবে মুন্সিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী।
সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণকারী শিল্পী তুষার রায় এটিকে অপূর্ব সুযোগ মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পদ্মা সেতুর সুফল তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে নিজের জেলাকে উপস্থাপন করা সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
সংস্কৃতিক সংগঠক শিশির রহমান এটিকে শিল্পীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠানস্থলে শেষ মুহূর্তের মহড়া দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জেলার পরিবেশনা উপভোগ করবেন, এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।’
এদিকে মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জবাসীকে উজাড় করে দিয়েছেন। তাঁর আগমনে মুন্সিগঞ্জবাসী আনন্দিত। তিনি আমাদের পদ্মা সেতু দিয়েছেন, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসিত করে তিনি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তাঁকে বরণ করে নিতে মুন্সিগঞ্জবাসী প্রস্তুত।’