মুন্সিগঞ্জ, ১৩ এপ্রিল, ২০২১, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী পারাপার করছে স্পিডবোট ও ট্রলার চালকরা। তবে এসময় প্রশাসনের কোন ধরনের নজরদারি দেখা যায়নি।
আজ (১৩ এপ্রিল) সকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে এ চিত্র দেখা যায়।
এসময় যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, অন্য সময় স্পিডবোটে করে পদ্মা পাড়ি দিতে প্রতিজনের ভাড়া দিতে হয় ১৫০ টাকা। অথচ আজ তারা নিচ্ছে ৩০০ টাকা করে। তবে অন্য সময় ট্রলারে যাত্রী পারাপার না করলেও বিশেষ সময়ে সুযোগ বুঝে যাত্রী পার করেন ট্রলার চালকরা। লকডাউনের কারনে ঘরমুখী মানুষের ঢল দেখে তারাই বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে যাত্রী পারাপার করছেন। প্রতিজনের থেকে ভাড়া নিচ্ছেন ২০০ টাকা করে।
শিমুলিয়া ঘাটে ভোর ৬ টা থেকেই ছিলো যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চাপ। বাস-ট্রাক সহ যে যেভাবে পারছেন পদ্মার পাড়ে এসে ভিড় করছেন। এরপর সুবিধামত কেউ ফেরিতে, কেউ কেউ স্পিডবোটে আবার কেউ পদ্মা পার হচ্ছেন ট্রলারে করে। গনপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশনায় বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। দুপুরের দিকে গাড়ীর চাপ কিছুটা কম হলেও সাধারণ মানুষের চাপ রয়েছে আগের মতই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিউটিএ) এর শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক সাহাদাত হোসেন বলেন, হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে চলে এসেছে। তাদের নদী পারাপারের জন্য ফেরি চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, লুকোচুরি করে কিছু স্পিডবোট চলছে। তবে ট্রলারে করে বেশি পরিমাণ যাত্রী নদী পার হচ্ছেন। নৌ-পুলিশের জনবলের অভাবে এসব নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। তাই, কোস্টগার্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।