২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | দুপুর ১:৪০
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ: ফেরি স্বল্প, ঈদে ভোগান্তির আশঙ্কা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৩ এপ্রিল, ২০২২, সাজ্জাদ হোসেন (আমার বিক্রমপুর)

ঈদকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারিপুরের বাংলাবাজার ও শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

কেননা এ নৌপথে ফেরি স্বল্পতার কারণে মানুষের ভোগান্তি দীর্ঘদিন যাবত। ঈদ মৌসুমে দক্ষিণবঙ্গের ২১ টি জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাট ব্যবহার করে লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফেরির সংখ্যা কম। তাই, ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা না গেলে দুর্ভোগে পড়বে যাত্রীরা।

শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দিনের বেলা ৭টি ও রাতে চলাচল করে ৩টি ফেরি। ফ্লাট ফেরিগুলো বিকালের পর থেকে চলাচল করতে পারে না নদীতে। অন্যান্য ঈদে এ নৌপথে চলাচল করে থাকে ১৭-১৮ টি ফেরি। এবার যা অর্ধেক হয়ে গেছে। তাছাড়া এ নৌপথে প্রায় ৭ মাস যাবত বন্ধ আছে ট্রাক ও বাস পারাপার।

কারণ পদ্মাসেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনার পর এ নৌপথে কেবল যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, পিকআপ পার হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় কথা হয় প্রাইভেটকার চালক জালাল উদ্দিন এর সাথে।

তিনি বলেন, ঈদ মৌসুমে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনা, শরিয়তপুর জেলায় যাওয়া হয়। এবার অন্যান্য বারের তুলনায় ফেরির সংখ্যা কম। স্বাভাবিক সময়ে ফেরি পেতে এক ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। আর শুক্রবার ফেরি পেতে সময় লাগে ৪-৫ ঘন্টা পর্যন্ত। আর বর্তমানে ঈদের আগে যদি ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি না করা হয় তবে মানুষের অনেক কষ্ট হবে।

বরিশালগামী যাত্রী ব্যবসায়ী কালাম হোসেন জানান, অন্যান্য ঘাট দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, বাস চলাচল করছে। এ নৌপথ দিয়ে যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি পার হয়। যাত্রীদের চাপ বাড়বে ঈদ যত এগিয়ে আসবে। এমন পরিস্থিতিতে ফেরির সংখ্যা যদি বাড়নো না হয় তবে মানুষের দুর্ভোগের শেষ হবে না।

বাগেরহাটগামী যাত্রী জাবেদ পাটোয়ারি জানান, প্রতিবার ঈদ এলেই শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক সময়ে ২-৩ ঘন্টাও লাগে ফেরি পেতে। আর ঈদে ২-৩ দিন যাবতও অপেক্ষা করতে হয়েছে। এবার ফেরির সংখ্যা কম। আর এসব ছোট ফেরি দিয়ে ঘাটের গাড়ি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। তারজন্য বড় ফেরিসহ বৃদ্ধি করতে হবে সংখ্যা।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার, শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে দিনের বেলা চলাচল করে ৭টি ফেরি। আর রাতের বেলা চলাচল করে ৩টি ফেরি। আর ৩টি ফেরি ডকইয়ার্ডে মেরামতের কাজ শেষে ঈদের আগে আসবে। এ স্বল্প সংখ্যক ফেরি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। প্রতিদিন শিমুলিয়া ঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, মাঝিকান্দি ফেরিঘাট তিনটিতে গাড়ি জমা থাকে প্রায় সময়। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে ততই বাড়বে গাড়ির চাপ। যদি ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয় তবে ভোগান্তি কমবে।

তিনি জানান, ঘাটে এসে ফেরি পেতে ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টাও লাগে। বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ জানান, ঈদ উপলক্ষে এখনো প্রস্তুতি শুরু হয়নি। এখনো গাড়ির চাপ ঘাটে দেখা যায়নি। তবে, ২০ রমজানের পর থেকে গাড়ির চাপ অত্যাধিক বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তিনি জানান, বর্তমানে ফেরি পারাপারে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগে।

error: দুঃখিত!