নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকট ও তীব্র স্রোতের কারনে শিমুলিয়া – কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল ৭ম দিনে আজ বুধবারও বন্ধ আছে । চ্যানেলে ডুবো চর ড্রেজিং করে পর্যাপ্ত নাব্যতা তৈরি করতেও ব্যর্থ হচ্ছে বিআইডাব্লিউটিসির ড্রেজারগুলো। তাছাড়া, প্রমত্ত পদ্মার তীব্র স্রোত এখন ৭ নটের উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই অপেক্ষাকৃত দূর্বল ইঞ্জিন সম্পন্ন হওয়াতে স্রোত কেটে ফেরিগুলো এগোতে পারে না।
গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ২ টি ফেরি দিয়ে লোড-আনলোড করেছে । বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান জানান, ‘কুসুমকলি’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ নামে দুটি কে-টাইপ ফেরি চারটি ট্রিপ দিয়েছে।
রবিবার রাতে ফেরি ‘কুসুমকলি’ বিকল হয়ে যায়। তাই এটি শিমুলিয়ার ভাসমাণ ওয়ার্কসপে মেরামত করা হয়। নতুন এই ফেরিটি মেরামতের পর সোমবার দুপুর থেকে আবার চলতে শুরু করে। এছাড়া ‘ক্যামেলিয়া’ নামে অপর একটি ফেরি রবিবার সন্ধ্যা থেকে চলাচল করছে। ফেরি দুটি সোমবার সারাদিনে চারটি ট্রিপ দেয়।
নাব্য সঙ্কট রোধে ড্রেজিং করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। তীব্র স্র্রোতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখ। স্বাভাবিক ফেরি চলার জন্য চ্যানেলে পানির গভীরতা প্রয়োজন কমপক্ষে সাড়ে সাত ফুট। কিন্তু পানির গভীরতা এখন ছয় ফুটের নিচে নেমে এসেছে।
বিআইডব্লিউটিসি এর শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন ,ড্রেজিং তো চলতেছে । মুল নদীতে প্রচন্ড স্রোত তাই ড্রেজার গুলো ভালো ভাবে কাটিং করতে পারছে না । স্রোত প্রায় ৭ নট । আর যা ড্রেজিং করেছে কোন কাজে আসে নাই । ৪টি ড্রেজার দিয়ে লৌহজং টা্নিং পয়েন্টে ড্রেজিং করা হচ্ছে ।