ঢাকার খুব কাছের জেলা মুন্সীগঞ্জ হওয়াতে চাকরিজীবী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের যাতায়াত বেশি রাজধানীতে। আর নৌপথে লঞ্চ অন্যতম মাধ্যম। আর এই পথে প্রতিদিনই যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
অতিরিক্ত ভাড়া, সময় ব্যয়, পুরনো লঞ্চ চলাচল আর মালিকদের খারাপ ব্যবহার সইতে হয় যাত্রীদের। অথচ এসব দূর্ভোগ দেখভালের কেউ যেন নেই।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া নারায়গঞ্জের উদ্দেশ্যে সোমা-১ ধলেশ্বরি মাঝ নদীতে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পরে একই মালিকের আর একটি লঞ্চ সোমা উদ্ধার করতে গেলে ওই লঞ্চের ইঞ্জিনও বিকল হয়ে যায়।পরে অন্য আর একটি লঞ্চ গিয়ে অর্ধ শতাধিক যাত্রী উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ টার্মিনাল ঘাটে নিয়ে যায়।
লঞ্চ যাত্রী মিথুন সাহা জানান, লঞ্চে এ সময় সাতজন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিল। তারা নিদিষ্ট সময়ে পরীক্ষার হলে যেতে পারেনি। লঞ্চে যাত্রী হয়রানি নিয়মিত ব্যাপার। সব সময় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে লঞ্চগুলো।
মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা মো. বাদল খান জানান, এটা বড় কোনো ঘটনা নয়, ইঞ্জিন খারাপ হতে পারে। আমি পরিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে হলে পৌঁছেছে।