১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
মঙ্গলবার | দুপুর ১২:৩৯
লঞ্চডুবি: ১৩ ঘন্টা পর মুন্সিগঞ্জের একজন জীবিত উদ্ধার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৯ জুন, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ১২ ঘণ্টার পর এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপুরের ঐ ব্যক্তির নাম সুমন বেপারী (৩৫)।

জীবিত উদ্ধারের কথা ‘আমার বিক্রমপুর’ কে নিশ্চিত করেছেন সুমন বেপারীর বড় ভাইয়ের ছেলে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আরাফাত রায়হান সাকিব।

ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর দেবাশিষ বর্ধন সোমবার (২৯ জুন) রাতে জানান, ‘আমরা ধারণা করছি উদ্ধার হওয়া এই ব্যক্তি সম্ভবত ইঞ্জিন রুমে ছিলেন। সাধারণত ইঞ্জিন রুম এয়ারটাইট হওয়ার কারণে সেখানে পানি প্রবেশ করে না। ১০টা ১০ মিনিটের দিকে কুশন পদ্ধতি ব্যবহার করে জাহাজ ভাসানোর চেষ্টা করা হলে সম্ভবত ইঞ্জিনরুম খুলে যায়। সে সময় তিনি বের হয়ে আসেন। এবং উদ্ধারকর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন।’

তিনি আরও জানান, জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে হাসপাতালের নাম উল্লেখ করেননি দেবাশিষ বর্ধন।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৯টার দিকে সদরঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ুর-২ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা ‘মর্নিং বার্ড’ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জনই মুন্সিগঞ্জের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লঞ্চে ১৫০ অধিক যাত্রী ছিলেন।

উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্য ও স্থানীয়রা।

আজ রাতের মধ্যেই ডুবে যাওয়া ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি রাতের মধ্যেই জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করতে পারবো।’

অন্যদিকে, লঞ্চডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। একই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ও।