মুন্সিগঞ্জ, ২৯ জুন, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
আজ রাতের মধ্যেই ডুবে যাওয়া ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ঘটনাস্থলে আসতে না পারায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে রাতের মধ্যে ম্যানুয়ালি উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি রাতের মধ্যেই জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করতে পারবো।’
রাতের মধ্যেই লঞ্চটি উদ্ধারে সংশয় প্রকাশ করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজটি এখানে এসে পৌঁছালে আমরা কাজ শুরু করতে পারতাম। কিন্তু এটা সন্ধ্যার মধ্যে আসতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিকল্পনা করা হয়, বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব আইটেমের অংশ হিসেবে কিছু কুশন আছে। যেগুলো জাহাজের ধ্বংসাবশেষের নিচে স্থাপন করে, পরে সেখানে বাতাস ভরে দিলে উপরে উঠে আসে। কাজটি ম্যানুয়ালি সেট করতে হয় ডুবুরির মাধ্যমে। এই কাজ চলমান আছে। এটা যেহেতু ম্যানুয়ালি করতে হচ্ছে তাই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এটা কখন শেষ হবে বলা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে। রাত হয়ে যাওয়ায় এখন পানির নিচে অনেকটাই অন্ধকার। অন্ধকারে কাজ করতে ডুবুরিদের সময় বেশি লাগার কথা। কাজ চলমান আছে।’
এখন পর্যন্ত ম্যানুয়াল উদ্ধার কাজের অংশ হিসেবে ছয়টি কুশনের মধ্যে তিনটি কুশন সেট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ জুন) সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ছোট্ট দোতলা লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয় ময়ূর-২ নামে আরেকটি লঞ্চ। এখন পর্যন্ত পুরুষ, নারী ও শিশুসহ ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩১ জনই মুন্সিগঞ্জের। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্য ও স্থানীয়রা।