২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১১:১৭
রাশিভেদে জেনে নিন বিছানায় কে কেমন
খবরটি শেয়ার করুন:

কারও যৌনক্রিয়া রোম্যান্টিক, কেউ আবার অতিমাত্রায় ওয়াইল্ড। কিন্তু কেন এই হেরফের? কারণ কিন্তু হতে পারে রাশি-নক্ষত্রও। জ়োডিয়্যাক সাইনের কারণেও নাকি যৌনক্রিয়ায় তারতম্য দেখা যায় মানুষের মধ্যে। তাই সেটাও একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবং একেকটি রাশি একেকরকম যৌন পদ্ধতির কথা বলে। তাই কোন রাশির কোন টাইপ জানা প্রয়োজন। নিজেরটা জানুন, সঙ্গীরটাও জেনে নিন –

মেষ বা এরিস (মার্চ ২১ থেকে এপ্রিল ১৯): মেষরাশির নারী-পুরুষ অসাধারণ যৌনতায় মেতে উঠতে পারে। যৌনতাকে উপভোগ করার দারুণ স্পৃহা থাকে তাদের মধ্যে। একই সঙ্গে বিছানায় ডমিন্যান্ট মূর্তিও ধারণ করে। সেই ধরন কখনওসখনও হিংস্রও হয়ে উঠতে পারে।

বৃষ বা টরাস (এপ্রিল ২০ থেকে মে ২০): খুব ধীরে শুরু করে যৌনসুখের পিকে পৌঁছে যেতে পারেন বৃষরা। সঙ্গীর সুখের কথা চিন্তা করে তার সবরকম আবদার মেটাতে চেষ্টা করে। সঙ্গীকে চূড়ান্ত তৃপ্ত করতে পারে। একইসঙ্গে বৃষরা কিন্তু দারুণ রোম্যান্টিকও।

মিথুন বা জেমিনি (মে ২১ থেকে জুন ২০): মিথুনদের দুটি সত্ত্বা, যাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলে “স্প্লিট পার্সোন্যালিটি। তাই যৌনসুখের বেলায় সেই দুটি সত্ত্বাই প্রখরভাবে কাজ করে। একেকবার একেকভাবে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয় তারা। তাদের আবার মিলনসুখেও ভ্যারাইটি চাই। দীর্ঘদিন একই পদ্ধতি তাদের পছন্দ নয়। তাই সবরকমভাবে যৌনসুখ ভোগ করতে মিথুনরা আগ্রহী।

কর্কট বা ক্যান্সার (জুন ২১ থেকে জুলাই ২২): যৌনসুখ ভোগ করার সময় কর্কটরা অতিরিক্ত আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। সেই আবেগই যৌনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তাদের। এই ধরনের যৌনতায় ফোরপ্লের একটা বিশেষ ভূমিকা আছে।

সিংহ বা লিও (জুলাই ২৩ থেকে অগাস্ট ২২): সিংহ যেহেতু পশুরাজ, এমনিতেই ওয়াইল্ড। তার উপর রাজকীয়ভাবটা যাবে কোথায়? ফলে যৌনতৃপ্তি ও ওয়াইল্ডনেসের অসাধারণ কম্বো সিংহের মিলন পদ্ধতি। আঁচড়ে কামড়ে সুখ ভোগে এরা অসাধারণ পারদর্শী। নারী সিংহরা বিছানায় দারুণ সিডাকটিভ। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার একজন সঙ্গীতে সন্তুষ্ট নয়। গ্রুপে সেক্স করতে পছন্দ করে। তা না হলেও একাধিক পুরুষ পার্টনার থাকে অনেকের। সিংহ রাশির পুরুষরাও কিন্তু যৌনতায় কম যায় না। নারীর সঙ্গে সমান তালে চলে তাদের রতিলীলাও।

কন্যা বা ভার্গো (অগাস্ট ২৩ থেকে সেপ্টেম্বর ২২): চেহারা দেখে কোনও মতেই বিচার করতে যাবেন না এদের। এরা কিন্তু চেহারায় এক, বিছানায় আরেক। দেখে মনে হবে নিতান্তই গোবেচারা টাইপ। ভাজা মাছটি উলটে খেতেই জানে না। কিন্তু কন্যারা হলেন ওয়াইল্ডনেসের বাবা!

তুলা বা লিব্রা (সেপ্টেম্বর ২৩ থেকে অক্টোবর ২৩): তুলা বলে কমজোর ভাবার কোনও কারণ নেই। এরা আবেগে ভরপুর। কামেচ্ছা এদের ষোলোআনা। অন্যদিকে মারাত্মক অ্যাটেনশন পছন্দ করে তুলা রাশির নারী-পুরুষ। অল্প ফ্লার্টেই গলে জল হয়ে যায়। তবে পিকে পৌঁছতে গেলে অনেক লুকোচুরির প্রয়োজন। প্রথমে ডিপ কিস, তারপর ডিপেস্ট স্মুচ, ফোর প্লে… ও সবশেষে ক্লাইম্যাক্স। এবং তারও শেষে জড়াজড়ি করে নিশ্চিন্তের ঘুম। একেবারে শিশুর মতো।

বৃশ্চিক বা স্করপিও (অক্টোবর ২৩ থেকে নভেম্বর ২১): যৌনতার ক্ষেত্রে বৃশ্চিক রাশির নারী ও পুরুষদের সবচেয়ে বেশি হিংস্র ভাবা হয়। এদের সেক্সে অনেকগুলো ধাপ আছে। ফোর প্লে, রোল প্লে, আউটডোর সেক্স, ফ্যান্টাসি… একেবারে মারকাটারি ক্রিয়াকলাপ। যৌনক্রিয়ায় একজন বৃশ্চিকের আদর্শ সঙ্গী হতে পারে একজন বৃশ্চিক বা একজন সিংহ।

ধনু বা স্যাজিটেরিয়াস (নভেম্বর ২২ থেকে ডিসেম্বর ২১): জীবনে এবং যৌনতায়, উভয় ক্ষেত্রেই রোমাঞ্চ খোঁজে স্যাজিটেরিয়াস নারী-পুরুষ। জনসমক্ষে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হতেও তাদের আপত্তি নেই। প্রচণ্ড PDA বা পাবলিক ডিসপ্লে অফ অ্যাফেকশনে বিশ্বাসী হয় অধিকাংশ স্যাজি নারী-পুরুষ।

মকর বা ক্যাপ্রিকর্ন (ডিসেম্বর ২২ থেকে জানুয়ারি ১৯): সঙ্গী একজন ক্যাপ্রিকর্ন হলে আপনাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে। যখন তখন এদের সেক্স জাগে না। জাগলেও যে কোনও মুহূর্তে তা চলে যেতে পারে। কিন্তু ক্যাপ্রিদের সঙ্গেও সুন্দর যৌনতা উপভোগ করা যায়। যদিও মুডটাই এখানে আসল।

কুম্ভ বা অ্যাকোয়ারিয়াস (জানুয়ারি ২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৮): বিছানায় বাতিকের শেষ নেই কুম্ভদের। কিন্তু ফোনে ফোনে সেক্সে এদের দারুণ আগ্রহ। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি, যে অ্যাকোয়ারিয়াসরা ফোনের মধ্যে যৌনতা নিয়ে কথোপকথন চালিয়ে সঙ্গীকে তৃপ্ত করতে পারে। কিন্তু সামনাসামনি এদের বাতিকগ্রস্ত মনোভাব সহ্যেরও অতীত। তবুও যৌনতার বেলায় রোমাঞ্চ খোঁজে কুম্ভ রাশির নারী-পুরুষ। সারপ্রাইজ়ের অপেক্ষায় থাকে।

মীন বা পাইসিস (ফেব্রুয়ারি ১৯ থেকে মার্চ ২০): মীন মানে মাছ। জলের প্রাণী। তাই একথা প্রচলিত, যে মীন রাশির নারী-পুরুষ নাকি সেক্স করে না! এরা ফোর প্লেকেই সেক্স বলে আখ্যা দেয়। তবে একথাও ভাবা হয়, মীনরা নাকি দারুণ প্রেমিক প্রকৃতির হয়। এদের মতো আবেগতাড়িত প্রেমিক আর দুটো নেই। মীনের যৌনক্রিয়ায় ভরপুর ফোর প্লে ও সম্মোহন মিশ্রিত থাকে। এবং এ সবকিছুই প্রকৃত যৌনযৌনক্রিয়ার চেয়ে অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে মীনরা।

error: দুঃখিত!