মুন্সিগঞ্জ, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, নাজির হোসেন (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ শেখের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে কৃষি জমির মাটি অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মান্দ্রা মৌজার বিস্তির্ণ কৃষি জমির মাটি কেটে জেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।
টংগিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ শেখের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিস্তীর্ণ ফসলী জমির মাটি কেটে ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার চাঠাতিপাড়া গ্রাম হতে সাতুল্লা সংযোগ সড়ক। মাত্র ২ মাস আগে কার্পেটিং করা রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ ট্রাকের চাপায় পৃষ্ট হয়ে ধ্বসে পরেছে।
গেল মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টা’র দিকে দেখা যায়, রাতের আধাঁরে মান্দ্রা মৌজার ক্ষেতে আলি আহম্মেদ শেখ ও তার ভাইদের কৃষি জমির মাটি খনন করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে।
ট্রাক ড্রাইভারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ট্রাক ভরে মাটি নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে পাশের সিরাজদিখান উপজেলার লালমিয়ার চরের ইটভাটায়।
এসময় মাটি ভর্তি ট্রাক চালক মো. ইমন বলেন, সিরাজদিখান উপজেলার লালমিয়ার চরের আমির হোসেনের কাছে আমরা মাটিগুলো নিয়ে যাই। সে এই স্থান হতে মাটি কিনেছে।
এদিকে, একই দিন বিকেলে দেখা গেছে, সাতুল্লা- চাঠাতিপাড়া সংযোগ সড়কের আসবল কবরস্থানের উত্তর পাশের বিস্তীর্ণ জমির মাটি ইতিমধ্যে কাটা হয়েছে। খনন চলা জমি হতে মাটি আনার জন্য কয়েকটি ফসলি জমির উপর দিয়ে তৈরী করা হয়েছে রাস্তা। ইতিমধ্যে বিস্তীর্ণ জমির মধ্যে ৩টি গর্ত করে মাটি বিক্রি করা হয়েছে। একটি গর্ত বিশাল পুকুরে পরিণত হয়েছে। গর্তের মধ্যে খনন যন্ত্র (বাংলা ড্রেজার ) বসিয়ে রাস্তার পাশের একটি জমি ভরাট চলছে। ড্রেজার দিয়ে মাটি পারাপার করার জন্য চাঠাতিপাড়া হতে সাতুল্লা সংযোগ সড়কের উপর উচুঁ করে নির্মাণ করা হয়েছে স্পিড ব্রেকার)।
আর ঐ স্পীড ব্রেকারের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে করে ব্যস্ততম সড়ক উপজেলা বাজার হয়ে ওই ট্রাকগুলো মাটি নিয়ে চলাচল করায় সন্ধ্যার পরে টংগিবাড়ী বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ শেখ বলেন, জমির মাটি কাটলে আপনার সমস্যা কি? সরকারি কোন নিষেধাজ্ঞার কাগজ থাকলে আমাকে দেখান, বলে ফোন কেটে দেন।
টংগিবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা আফরিন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।