মুন্সিগঞ্জ, ২৭মে, ২০২০, সিরাজদিখান প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পাড়াভোম গ্রামের পাড়াভোম জামে মসজিদের ইমামকে কেদ্র করে গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে উপজেলার ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূ্ত্রে জানা যায়, বুধবার ২৭ মে দুপুরে জোহর নামাজের আগ মুহুর্তে পাড়াভোম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোস্তফা কামালকে (৩৮) মসজিদে রাখা না রাখা নিয়ে কোলা ইউপি ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.বাচ্ছু মিয়ার ও দক্ষিন নন্দনকোনা গ্রামের মে.শহিদুল ইসলামের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
ইউপি সদস্য মো.বাচ্ছু মিয়া ইমাম মাওলানা মোস্তফা কামালকে মসজিদে রাখার পক্ষে অবস্থান নেন এবং শহিদুল ইসলাম ইমামকে মসজিদে না রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। পরে দু’পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয় পড়েন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৫ জন রমজান হোসেন (৬০), আল ইসলাম (৪৮), নাহিদ শেখ (১৮), শাহ আলম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর শেখকে (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম জানান, মসজিদের ইমাম মো. মোস্তফা কামাল মসজিদে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা করে সে জামাত-শিবির পন্থী মসজিদ পরিচ্ছন্ন রাখে না মুসল্লিদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আরো বিভিন্ন সমস্যা আছে সে বিগত আট বছর যাবত এই মসজিদে আছে কিন্তু সে মসজিদের কোন উন্নয়নমূলক কোন কাজ সে করে নাই তাই আমরা আরেকটু ভালো ইমাম রাখার চেষ্টা করতেছি কিন্তু এই বাচ্ছু মেম্বার তাঁকে মসজিদে রেখে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতেছে।
এ বিষয়ে কোলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. বাচ্ছু মিয়ার কাছে জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের ০১৭১৬০৯৭৫৪৯ এই নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কপাসের হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপক্ষের লোকজন টেটা-রামদা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বিষয়টি আমি সমাধান করেছিলাম সমাধানের এক দিন পরেই দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো.ফরিদ উদ্দিন জানান, মসজিদের ইমামকে কেদ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কোন পক্ষেরই অভিযোগ পাইনি, তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি ।