১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | সকাল ৮:২২
মুন্সিগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে অা.লীগ ক্যডারদের বাঁধা-ভাঙচুর, হুমকি প্রদান
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী মানুর গণসংযোগে ব্যাপক বাঁধা দেয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ মনোনিতত মেয়র ফয়সাল বিপ্লব পক্ষের সশস্ত্র ক্যাডাররা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্ঠা করা হচ্ছে।

বুধবার (১৬/১২/২০১৫ইং) বিকেল ৩টায় মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার হরগঙ্গা কলেজ এলাকার পুরাতন পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে রিকশায় করে মাইকে ধানের শীষের প্রচার চলাকালে ২-৩টি মোটর সাইকেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সমর্থক দৃস্কৃতকারীরা এসে নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহ্নত মাইক ভাঙচুর করে প্রচার কাজ বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০ টায় দিকে পৌরসভার দেওভোগ গ্রামের জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিম স্বপনের বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর সশস্ত্র ক্যাডাররা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা চালায়। এ সময় স্বপনের স্ত্রী-সন্তানেরা আকুতি করে স্বপনকে রক্ষা করে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন না করার শর্তে।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় খালইস্ট গ্রামে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়িতে ৯-১০ জনের একদল সশস্ত্র ক্যাডার প্রবেশ করে মাসুদ রানাকে বাড়িতে না পেয়ে তার মা-বোনকে পিস্তল উচিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। ঐ ক্যাডাররা মাসুদ রানাকে মুন্সীগঞ্জ থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ভাড়া বাবদ নগদ ২ হাজার টাকা ঘরের ভেতর ফেলে যায়।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর একদল অস্ত্রধারী হত্যার হুমকি দিয়ে ও বাঁধা দিয়ে বিএনপি প্রার্থী’র গণসংযোগ বন্ধ করে দেয়। গণসংযোগ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে দুপুর ১ টায় পুরাতন কাচারি এলাকায় মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তোতা মিয়ার রিকশার গতিরোধ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ক্যাডাররা তার শার্টের কালার চেপে ধরে ও মারধর করে তাকে লাঞ্ছিত করে। এ সময় তাকে তুলে নেয়ার চেষ্ঠা চালালে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন।

বর্তমানে পৌরসভার সবখানেই আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের সশস্ত্র মহড়া চলছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পৌরসভার প্রতিটি এলাকায় গণসংযোগে বাঁধা, পোস্টার ও লিফলেট বিলিতে বাঁধা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিস ও পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়।

error: দুঃখিত!