৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১০:৩৯
মুন্সিগঞ্জে পিলখানার বিস্ফোরণ মামলা নিষ্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন পরিবারের 
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

পিলখানায় সংঘটিত বিস্ফোরণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর মানবিক আবেদন জানিয়েছেন কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের পরিবার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আলী হোসেন নামের বিডিআর পরিবারের এক সদস্য ওই স্মারকলিপি জমা দেন।

এসময় জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন আসন্ন জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

এর আগে গত দুই দিনে দেশের ৪৫টি জেলায় একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের পরিবারগুলো।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইতিমধ্যে আমাদের স্বজনরা বিডিআর আইনের সাজা ভোগ শেষ করেছে এবং ফৌজদারি আইনে হত্যা মামলা হতে কেউ খালাস পেয়েছে আবার অনেকে হত্যা মামলায় ফৌজদারি আইনে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ভোগ শেষ করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত শুধুমাত্র বিস্ফোরক মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় এবং সাংবিধানিক অধিকার থাকা সত্ত্বেও জামিন না পাওয়ায় স্বজনদের আমরা ফিরে পাচ্ছি না।

এই দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত আমাদের এই অসহায় পরিবারগুলোর কারো উপার্জনক্ষম পিতা, কারো স্বামী, কারো সন্তান কারাগারে থাকায় আমরা মানবতার জীবন যাপন করছি। দীর্ঘ ১৫ বছর কারাগারে থাকার কারণে আমাদের স্বজনরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুশয্যায় রয়েছে। পিলখানার সংঘটিত ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলা ইতিমধ্যে ১৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে। পূর্বে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি গত ২১-১-২০১৯ইং তারিখে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ও গত ৯-২-২০২২ইং তারিখে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে আমরা স্বজনরা একটি সংবাদ সম্মেলন করি।

সর্বশেষ ১১- ৭-২০২৩ইং তারিখে “দৈনিক ইত্তেফাক” পত্রিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি মানবিক আবেদন করি। হত্যা মামলার ২ বছর ১১ মাসে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রায় প্রদান করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক মামলাটি আজ ১৫ বছরেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা বারবার বিস্ফোরক মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন করলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। মামলাটি উচ্চ আদালতে পরিচালনার জন্য আমরা আর্থিকভাবে অক্ষম বিধায় পুরোপুরিভাবে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারছি না এবং আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারছি না। শুধুমাত্র বিস্ফোরক মামলার কারণে ১৫ বছর অধিক সময় ধরে আমাদের স্বজনেরা কারাভোগ করছে। সাংবিধানিক অধিকার থাকা সত্ত্বেও জামিনে মুক্ত বা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না।

error: দুঃখিত!