১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | সন্ধ্যা ৬:৫৯
মুন্সিগঞ্জে নিষিদ্ধ পপি চাষ মামলায় আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানী মঙ্গলবার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৭ জুন, ২০২০, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলের বাংলাবাজারের বানিয়াল গ্রামের দুর্গম এলাকায় নিষিদ্ধ অপিয়ম পপি গাছের চাষ মামলায় আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানীর দিনধার্য করা হয়েছে আগামী মঙ্গলবার। 

গত ২১ জুন থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২৪ জুন আসামীদের আদালতে হস্তান্তর করে তদন্তের স্বার্থে আসামীদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরই প্রেক্ষিতে আগামী মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানীর দিনধার্য করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার ওসি-অপারেশন শেখ আবু হানিফ জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সদর থানার এস আই লোকমান বাদী হয়ে দুই জনের নামসহ অপর আসামী অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা রুজু করা হয়। এরপর এজাহারভূক্ত দুই আসামী খোরশেদ আলম মাঝি ও নিজাম মিজি গত ১৯ মার্চ গোপনে আদালতে আত্মসর্মপন করলেও বিচারক আসামীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মুন্সিগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মামলার তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এরপরই তাদের সদর থানা হেফাজতে ২১ জুন থেকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীদের ২৪ জুন আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, সদর থানা হেফাজতে ৩ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামীরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য সঠিক কিনা তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হওয়ায় আসামীদের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে আবারও ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন দাখিল করেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার ওসি-অপারেশন আবু হানিফ।

জানা গেছে, গত ৮ মার্চ অভিযান শেষে বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন নিষিদ্ধ অপিয়ম পপি চাষের সঙ্গে স্থানীয় দুই ব্যক্তির সঙ্গে মোল্লাকান্দির ইউপি সদস্য স্বপন দেওয়ান জড়িত থাকার তথ্য পুলিশ ও গনমাধ্যমকে জানায়। তবে সদর থানায় রুজু করা মামলার এজাহারে স্বপন দেওয়ানের নাম অর্ন্তভূক্ত না করে দুই জনের নাম দিয়ে অপর আসামীরা অজ্ঞাত পরিচয় উল্লেখ করা হয়। চরাঞ্চলের বাংলাবাজারের বানিয়াল গ্রামের দুর্গম এলাকায় ১৭৪ শতাংশ জমির প্রতি শতাংশে ৫০০টি করে মোট ৮৭ হাজার নিষিদ্ধ অপিয়ম পপি গাছের চাষ করা হয়। আর প্রতিটিতে ৩টি করে ফল হওয়ায় সেখানে ২ লাখ ৬১ হাজার নিষিদ্ধ অপিয়ম পপি ফল হয়েছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া তথ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাদক সিন্ডিকেটের কোটি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায়।

মামলার বাদী এস আই লোকমান মিয়া জানান, নিষিদ্ধ অপিয়ম পপি চাষের সঙ্গে জড়িত সদরের বাংলাবাজার ইউপির দক্ষিন ভূ-কৈলাশ গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিজির ছেলে নিজাম মিজি ওরফে মাইগ্যা নিজাম, বানিয়াল পূর্ব বাগেরচর গ্রামের সাখাওয়াত মাঝির ছেলে খোরশেদ আলম মাঝি ওরফে খুইশ্যাসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।

তিনি জানান, খবর পেয়ে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে আফিম তৈরীর পপি চাষের আলামত জব্দ করে।