পৌরসভা নির্বাচনে অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়নি মুন্সীগঞ্জের প্রশাসন।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলে আজিম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অনলাইন গণমাধ্যমকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
সারাদেশে অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেলেও মুন্সীগঞ্জের প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ভিন্ন ব্যাখ্যা করেছে এবং অজ্ঞাত কারণে অনলাইন মিডিয়াকে উপেক্ষা করেছে। অথচ পৌর নির্বাচনে স্থানীয় সাংবাদিক অনুমোদন ও পরিচয়পত্র প্রদান সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় ৪ নং দফায় বলা হয়েছে- `স্থানীয় সাংবাদিকদের আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের পরিচয়পত্র দিতে হবে। কতজন সাংবাদিককে পরিচয়পত্র দেয়া যায় তা প্রয়োজনে স্থানীয় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। অনলাইন নিউজ এজেন্সির সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে যে সব অনলাইনের অন্তত একজন সাংবাদিকের পিআইডি’র এ্যাক্রিডিটেশন কার্ড রয়েছে এবং যারা নির্বাচন কমিশন বিটে নিয়মিত কাজ করেন তাদেরকে নির্বাচনের সাংবাদিক পরিচয়পত্র দেয়া যেতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার কথা থাকলেও মুন্সীগঞ্জ প্রশাসন তা আমলে নেননি।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাথে আলোচনা হলেও অনলাইন গনমাধ্যম বিষয়ে সাংবাদিক নেতাদের পরামর্শ আমলে নেয়নি জেলা প্রশাসন। প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যমকেও তারা অনুমোদন দেয়নি।
মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র এক সাংবাদিক জানালেন, প্রশাসন এবার সাফ বলে দিল অনলাইন নিউজের কেউ নির্বচন পর্যবেক্ষনের সুযোগ পাবে না। আমরা এর কারণ জানতে চাইলেও কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের রিটানিং কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্বাচন কমিশনের চিঠিটা দেখিয়ে বললেন আপনার আবেদন রেখে যান নীতিমালার মধ্যে পড়লে আমরা দেব। কিন্তু শেষপর্যন্ত অনলাইনের কোন সাংবাদিককে তারা অনুমোদন দেয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের জেলায় অনলাইন গণমাধ্যম নিয়ে কোন বিতর্ক হয়নি। তবে কিছু জেলায় এই বিতর্ক হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এমন অনলাইন মিডিয়া ভীতি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বড় বড় গনমাধ্যম শুধু অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সকল ছাপানো পত্রিকা, টিভি, রেডিও, ম্যাগাজিন এর অনলাইন ভার্সন আছে এবং বর্তমানে অনিবার্য। বর্তমানে অনেক পত্রিকা ছাপা হয় ১ লাখ আর অনলাইনে ঐ পত্রিকাই পড়ে গড়ে ২০-২৫ লাখ মানুষ। তাৎক্ষনিক সংবাদ পাওয়া যায় বলে বর্তমানে অনলাইনেই সবাই সংবাদ খোজে।
অনলাইনে ইতিবাচক খবর যেমন দ্রুত ছড়ায় তেমনি নেতিবাচক খবরও দ্রুত ছড়ায়। তাই হয়তো প্রশাসনের এত অনলাইনভীতি। তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুন্সীগঞ্জের সাংবাদিক মহল।