মুন্সিগঞ্জ, ১২ জুন, ২০২১, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘন্টা পর অচেতন অবস্থায় স্বামীকে খুঁজে পেলেও কিস্তিতে কেনা স্বামীর উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটো গাড়িটি পায়নি চায়না। স্বামীকে পেয়ে যদিও সে তৃপ্ত কিন্তু কিস্তিতে কেনা গাড়ির কথা ভেবে শঙ্কিত তিনি।
চায়না বেগম জানান, মাত্র ২ মাস আগে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে সাপ্তাহিক কিস্তিতে একটি শো-রুম থেকে ব্যটারিচালিতে অটো গাড়িটি কিনেন তার স্বামী। অটোটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ি হতে বের হয় স্বামী আনোয়ার।
আরও পড়তে পারেন: মুন্সিগঞ্জে অটোরিকশা চালক নিখোঁজ
তারপর আর বাড়িতে ফেরেনি। অনেক খোজাঁর পর গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) নারায়নগঞ্জ জেলার ভোলাইল এলাকায় রাস্তার পাশ হতে অচেতন অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় অটোরিকশা চালক আনোয়ারকে। কিন্তু কিস্তিতে কেনা আনোয়ারের অটোরিকশাটি অজ্ঞান করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুস্কুতরা।
চায়না বেগম বলেন, আমি এখন কেমনে কিস্তি চালাবো? আমার একটি মেয়ে আছে ওর নাম আতিকা। ও মাদ্রাসায় পরে। আমার ভিটে বাড়ি ছাড়া কিছুই নাই। স্বামী অটো চালাইয়া সংসার চালাইতো এখন অটোটি নিয়ে গেলো সংসারইবা কি করে চলবো।
আনোয়ার হোসেন টংগিবাড়ী উপজেলার আবদুল্লাপুর গ্রামের রশিদ সেখের ছেলে। সে বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ি হতে অটো নিয়ে ভাড়ায় চালানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিকালে অজ্ঞান অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের ভোলাইল হতে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে ছিনকাইকারীরা নিয়ে গেছে তার কিস্তিতে কিনা অটোটি। শুক্রবার দুপরে ছেলের খোঁজে আনোয়ার এর বাবা বের হলে নারায়নগঞ্জের ভোলাইল এলাকায় রাস্তার পাশে অনেক লোকের জটলা দেখে এগিয়ে গেলে দেখেন আনোয়ার অচেতন অবস্থায় পরে রয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
আনোয়ার এর বাবা রশিদ শেখ কান্নায় ভেঙ্গে পরে বলেন, আমি গরিব মানুষ। পোলাপাইন গুলি গাড়ি চালায় খায়। আমার ছেলে রাতে গাড়ি নিয়ে বাড়ি না আসা পর্যন্ত আমি ঘুমাইনা। কালকে ছেলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রাত দুইটা পর্যন্ত জেগে ছিলাম। পরে দেখি ও আর বাড়িতে ফিরে আসে না। তারপর হতে ছেলেকে খুজঁছি। মুন্সিগঞ্জে রাতে ও সকালে খুঁজে না পেয়ে নারায়নগঞ্জ গিয়ে খুঁজতে শুরু করি। পরে ভোলাইল এলাকায় রাস্তার পাশে দেখি একস্থানে অনেক লোক জটলা বেঁধে দাড়িয়ে আছে। আমি জটলা ঠেলে ভিতরে গিয়ে দেখি অচেতন অবস্থায় আমার ছেলে পরে আছে। পরে ওকে আমি বাড়িতে এনে এখন সেলাইন দিচ্ছি।