মুন্সিগঞ্জ, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে চেক ডিজঅনার মামলায় ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় অপর ব্যবসায়ীকে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফেরদৌসি বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারি আল হেলাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মন্টু (৩৭) বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার কিসমত জামুয়া গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র ও ঢাকার চকবাজার এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলাটির বাদী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মানিক সরদার মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের গোসাইবাগ এলাকার আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী মানিকের কাছ থেকে দন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি আড়াই কোটি টাকা ঋণ নেন। পরে তিনি টাকা পরিশোধের কথা বলে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের আড়াই কোটি টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে জমা দেয়ার পর জানা যায় অ্যাকাউন্টটিতে টাকা জমা নেই।
পরে এ ঘটনায় মানিক সরদার আইনজীবীর মাধ্যমে মন্টুকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান ও পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রাপ্ত হওয়ার পর আদালতে হাজিরা দিলেও পরে আসামি পলাতক হন। একপর্যায়ে মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি মন্টুকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদানের রায় দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নূর হোসাইন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।