মুন্সিগঞ্জ, ২৫ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে চাঁদার দাবিতে ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখের সমর্থক এক ব্যক্তির খাবার হোটেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তার মা ও দোকানের কর্মচারিসহ ৪ জনকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) আনসারউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের বণিক্যপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, হোটেল মালিক আলমগীর ঢালী (৪৫), আসিয়া বেগম (৭৫),কর্মচারী হারুন (৪৫) ও কর্মচারী কাজীমুদ্দিন (৫০)। আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওযা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, দুপুরের দিকে আহত অবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের শরীরে মারধরের চিন্থ রয়েছে। এর মধ্যে আসিয়া বেগম (৭৫) এর মাথায় আঘাতের চিন্থ রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শাখারীবাজার এলাকার আলম মিস্ত্রির ছেলে আল আমিন (৪৫), পানাম জোড়ারদেউল এলাকার মৃত মতি শনির ছেলে কনক শনি (২৫) ও পঞ্চসার ইউনিয়নের বণিক্যপাড়া এলাকার ভুলু সৈয়ালের ছেলে ইকবালসহ ৪/৫জন দুপুর ১ টা’র দিকে বণিক্যপাড়া এলাকায় অবস্থিত রামপাল ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ সমর্থক ভট্টাচার্যের বাগ এলাকার আলকেছ ঢালীর ছেলে আলমগীর ঢালী (৫৩) এর খাবার হোটেলে গিয়ে চাঁদা দাবি করে।
এসময় হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর ঢালীসহ তার মা আসিয়া বেগম ও দুই হোটেল কর্মচারি হারুন ও কাজীমুদ্দিনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে তারা।
অভিযোগের বিষয়ে হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর ঢালী বলেন, ইকবালের নেতৃত্বে কনক, আলামিনসহ ৪-৫জন আমার হোটেলে প্রবেশ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি ওদের জিজ্ঞেস করি কিসের চাঁদা, কেনো চাঁদা দেবো? এরপরই ইকবালসহ তার সহযোগিরা হোটেলের আসবাবপত্র ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। আমাকে ও আমার মাসহ হোটেলের দুই কর্মচারিকে মারধর করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল বলেন, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গেল রোববার আমার বোনসহ ৪ নারীসহ ৫জনকে বাচ্চু শেখ মারধরে করে। এ নিয়ে বাচ্চু শেখের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়ায় তার সমর্থক আলমগীর হোসেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, পঞ্চসারের বণিক্যপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে একটি খাবার হোটেল ভাঙচুর কর্মচারিকে মারধরের ঘটনায় খবর পেয়েছি। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।