কলেজপড়ুয়া ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও অপহরণের চেষ্টা ওও বাড়িঘর ভাঙচুর করায় ছাত্রলীগের ২ নেতাসহ ৩ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আহত মিজানুর রহমান শেখকে (২৬) মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি মুন্সীগঞ্জের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক।
শুক্রবার রাতে করা মামলার বাদী হয়েছেন কলেজছাত্রীর বাবা আহম্মদ আলী।
মামলার আসামিরা হলো মুন্সিগঞ্জের পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের শাহ পরাণ মোল্লার ছেলে শাহাবাজ মোল্লা আসিক (২৭), ও ইকবাল হোসেনের ছেলে ইকরাম হোসেন তুর্য (২৬) ও আকবর মোল্লার ছেলে জনি মোল্লা (২৫)।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে শাহাবাজ মোল্লা আসিক মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইকরাম হোসেন তুর্য্য সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চসার ইউনিয়নের ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় ওই বখাটেরা এসব ঘটনা ঘটায়।
এদিকে, গতকাল বিকালে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর জবানবন্দি নিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট শাহেন আরা বেগম।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্র মতে, ফিরিঙ্গিবাজারের বাড়ি থেকে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে আসিক উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসিকের নেতৃত্বে ৫-৬ বখাটে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় শিক্ষক ভাই বোনকে উদ্ধার করতে এলে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মো. মোমেন ভূঁইয়া জানান, সবেমাত্র মামলা হয়েছে। মামলার কপি এখনও হাতে পাইনি। মামলার কপি হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা বলেন, এদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।