মুন্সিগঞ্জ, ১৫ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধরের অভিযোগে মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনকে প্রধান অভিযুক্ত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকালে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় এই অভিযোগ দায়ের হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা’র দিকে রিকাবীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রচারণা শেষে মিরকাদিম পৌরসভার কালিন্দিপাড়া এলাকায় শহিদুল ইসলাম শাহিনের পরিত্যক্ত বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্বপাড়া এলাকার নাছির মিয়ার ছেলে আবির হোসেন (২২) মারধরের শিকার হন। এসময় তার মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা জানান, মারধরের শিকার আবির স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারী। আহত আবির ঢাকার জাপান বাংলাদেশ মৈত্রি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে উল্লেখিত অন্য অভিযুক্তরা হলেন, পূর্বপাড়া এলাকার বাবুল আহম্মেদ, মাসুদ ফকরি খোকন, সম্পদ মিয়া, মো. সাগর, তিলারদিচর এলাকার ইমতিয়াজ সানি, মো. নাজিম ও নৈদিঘিরপাথর এলাকার খশরু নোমান সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন।
এজাহারে বলা হয়, ১নং অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম শাহিন আবির হোসেন (২২) কে পিস্তল ঠেকিয়ে চড় থাপ্পর মারেন। এসময় ৩ নং অভিযুক্ত মাসুদ ফকরি খোকন মাথার তালুতে কোপ মেরে জখম করেন, ৪ নং অভিযুক্ত সম্পদ মিয়া চাইনিজ কুড়াল দিয়ে পায়ের গোড়ালির উপরে কাটা রক্তাক্ত জখম করেন ও ৫ নং আসামি মো. সাগর ধারালো ছুড়ি দিয়ে কোমড়ের নিচে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আহত আবির নিজেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে ২ দিন আগেও থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য একটি পক্ষের উস্কানিতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।