ভারতের ভীষণ শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপে কোনো দুর্বলতা খুঁজে পাচ্ছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। এশিয়া কাপের ফাইনালে তাই সতীর্থদের পুরো ম্যাচ এক তালে খেলে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তবে শুরু আর শেষের ঝড় ঠেকাতে সেই সময়ে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ভারতের ব্যাটসম্যানদের যতটা সম্ভব বেধে রাখতে চান মাশরাফি। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শেষের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল ভারত। তাই শেষের ওভারগুলোতেও এবার বাড়তি নজর থাকছে চন্দিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের।
আগামী রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রতি সমীহ দেখালেন মাশরাফি।
“ভারত-বাংলাদেশের ফাইনাল ম্যাচে কিন্তু ভারত পরিষ্কার ফেভারিট। এটা সবাই জানে। এখানে আলাদা করে চিন্তা করার সুযোগ নেই।”
“আমরা একটা দল হিসেবে খেলছি। টি-টোয়েন্টিতে এখনও আমরা সে রকম ক্রিকেটার গড়ে তুলতে পারিনি যারা একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। গত দুটি ম্যাচ আমরা দল হিসেবে খেলে জিতেছি। এই মুহূর্তে আমাদের দলীয় একতা দারুণ। সেটাকেই ধরে রাখতে চাই,” যোগ করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টানা তিন জয়ে মাশরাফিদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। তাই ফাইনালে নিজেদেরও ভালো সুযোগ দেখেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
“অবশ্যই খুব ভালো সুযোগ। দর্শক, মাঠ, ড্রেসিং রুম, সব আমাদের পক্ষে। তবে এটাই শেষ কথা নয়, সব কিছু পক্ষ থাকলেই যে দিন আমাদের হবে, এটার নিশ্চয়তা নেই।”
বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা-সুরেশ রায়নাদের উপিস্থিতিতে ভারতের ব্যাটিংয়ে কোনো দুর্বলতা দেখেন না মাশরাফি।
“ভারতের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই। ওদের টপ ৬ ব্যাটসম্যানই বিশ্বমানের। কোনো সন্দেহ নেই যে, সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গায় আটকানোর সুযোগ নেই। প্রথম ওভার থেকে ২০ ওভার পর্যন্ত ভালো বোলিং করতে হবে। তবে এই ধরনের ম্যাচে প্রথম ৬ ওভার বা শেষে ক্ষতি হয়, সেদিকে মনোযোগ বেশি থাকবে।”