২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সকাল ৭:২৫
বায়ুদূষণ রোধে মুন্সিগঞ্জ সহ পাঁচ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের প্রতিবেদন হাইকোর্টে
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৭ জানুয়ারি, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদফতর ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হবে।

এর আগে ঢাকায় কী কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে এবং দূষণেরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেসব বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত। পাশাপাশি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের সব অবৈধ ইটভাটা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এক রিট আবেদনের শুনানিতে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিজল মোরসেদ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

সে রিটের শুনানি নিয়ে ওই একই বছরের ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল জারির পাশাপাশি বায়ুদূষণরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশও দেন। ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে যেসব এলাকা ঘেরাও করে পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

error: দুঃখিত!