৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায়।
তার কয়েক ঘণ্টা পর রাতে নির্বাচন কমিশন একটি পরিপত্র জারি করে, যাতে পৌর ভোটে অংশ নিতে প্রার্থিতার যোগ্যতার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয় থেকে জারি করা এই পরিপত্রটির নম্বর ৬। অথচ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জন্য বুধবার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর পরিপত্র জারি করা হলেও ৬ নম্বরটি বাদ ছিল।
আইনের কিছু বিষয় স্পষ্টকরণ সংক্রান্ত এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, মেয়ররা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে অন্য স্থানীয় সরকার পরিষদের কেউ স্বপদে থেকে পৌর নির্বাচন করতে পারবেন না।
এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের শিক্ষকদের স্বপদে থেকে ভোটে বাধা নেই। সরকারি স্কুলে শিক্ষকদের পদ ছাড়তে হবে নির্বাচন করতে।
সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া বা পিআরএল-এ থাকা চাকুরেরা নির্বাচন করতে পারবেন। পেনশনভুক্তরা নির্বাচন করতে পারবেন।
যে কোনো সরকারি চাকরিজীবী অব্যাহতি নিলেই ভোট করতে পারবেন, তিন বছর অপেক্ষার দরকার পড়বে না বলে ৬ নম্বর পরিপত্রে বলা হয়েছে।
পরিপত্র জারির পর অনেকেই বলছেন, এ নির্দেশনা আগে দেওয়া হলে অনেকেই ভোটে দাঁড়াতে পারতেন। এটা দেরিতে দেওয়ার ‘রহস্য’ কী?
জানতে চাইলে ইসির উপসচিব সামসুল আলম বলেন, “এসব বিধান রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানেন, তবুও তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে পরিপত্র জারি করা হল।”